(বাঁ দিকে) জ়িশান সিদ্দিকি এবং নিহত বাবা সিদ্দিকি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বাবা সিদ্দিকির খুনের মামলায় ধৃতের ফোন থেকে মিলল তাঁর পুত্র জ়িশান সিদ্দিকির ছবি। শনিবার সকালে এ কথা জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। মহারাষ্ট্রের এনসিপি (অজিত গোষ্ঠী) নেতা সিদ্দিকির খুনের পর এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত। গত শনিবার গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। ঘটনায় ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। শনিবার সকালে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের এক জনের ফোন থেকে জ়িশানের ছবি পাওয়া গিয়েছে। ভাড়াটে খুনিদের যিনি পরিচালনা করছিলেন, তিনিই ওই ছবিটি ধৃতকে পাঠিয়েছিলেন।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সিদ্দিকি খুনের মামলায় অভিযুক্তেরা অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ‘স্ন্যাপচ্যাট’-এ একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। ওই অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমেই জ়িশানের ছবি পাঠানো হয়েছিল ভাড়াটে খুনির কাছে। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে ওই ছবি পাঠানো হয়েছিল, সেই বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। জ়িশান বর্তমানে বান্দ্রা পূর্বের বিধায়ক। গত শনিবার বান্দ্রায় বিধায়কের দফতরের সামনেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল তাঁর পিতাকে।
প্রসঙ্গত, গত অগস্ট মাসেই মুম্বইয়ে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজে সরকারি আধিকারিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জ়িশানের বিরুদ্ধে। সেই সময়ে বান্দ্রা পূর্বের বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। ওই ঘটনার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক সূত্র জানিয়েছিল, সে দিনের ঘটনার পর বিধায়ক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল পুলিশের। যদিও অগস্টের ওই ঘটনার সঙ্গে সিদ্দিকির উপর হামলার ঘটনার কোনও যোগ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সিদ্দিকি খুনের পর মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছিলেন, একাধিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মধ্যে অগস্ট মাসের ওই এফআইআর সংক্রান্ত বিষয়গুলিও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকিরও। ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের আবাসন ও নগরোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেই সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সংস্থাকে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy