কেউ মত্ত অবস্থায় রয়েছে কি না, তার চূড়ান্ত প্রমাণ ‘ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার’ পরীক্ষায় পাওয়া যেতে পারে না। আইনি সংবাদ পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে পটনা হাই কোর্ট। প্রায়ই দেখা যায় গাড়িচালক কিংবা পথচারীদের মুখে নলবিশিষ্ট একটি যন্ত্র লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মত্ত রয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করছে পুলিশ। কিন্তু এই ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার পরীক্ষার মাধ্যমে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায় কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল পটনা হাই কোর্ট।
বিহারে দীর্ঘ দিন ধরেই মদ্যপান, মদ বিক্রি এবং মদ মজুত করা নিষিদ্ধ। সেই বিহারেরই বাসিন্দা নরেন্দ্রকুমার রাম মদ্যপান করার অভিযোগে ২০২৪ সালের ২ মে গ্রেফতার হন। পুলিশ জানায়, বিহারের কিসানগঞ্জের বাসিন্দা নরেন্দ্রকে মত্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার পরীক্ষাতেও মদ্যপানের প্রমাণ মিলেছিল বলে জানায় পুলিশ। নরেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিহারের মদ নিষিদ্ধকরণ আইনের আওতায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তার পরেই তিনি পটনা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
সম্প্রতি পটনা হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধরি নরেন্দ্রের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ওই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছেন। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসে মদের গন্ধ, অসংলগ্ন কথা কখনও মদ্যপান করার চূড়ান্ত প্রমাণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে পটনা হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
নরেন্দ্র আদালতে দাবি করেন, তিনি পাকস্থলীর চিকিৎসার জন্য একটি হোমিয়োপ্যাথি ওষুধের দোকানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দেওয়া ওষুধে অ্যালকোহলযুক্ত ওষুধ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। তাঁর শরীরে অ্যালকোহল রয়েছে কি না, তা প্রমাণ করতে রক্ত কিংবা প্রস্রাব পরীক্ষা করানো হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন নরেন্দ্র।