প্রতীকী ছবি।
আমেরিকা থেকে কলকাতায় এসেছেন তিলোত্তমা বোস। ফেরার কথা ৯ জানুয়ারি। সে-দিন কলকাতা থেকে দিল্লির উড়ান। পরের দিন ভোরে দিল্লি থেকে সোজা আমেরিকা।
কিন্তু এখন কলকাতা থেকে দিল্লি বা মুম্বই যেতে হলে সোম আর শুক্রবার ছাড়া উড়ান মিলবে না। যার অর্থ, সোমবার ভোরে দিল্লি থেকে আমেরিকার উড়ান ধরতে হলে তিলোত্তমাকে দিল্লি চলে যেতে হবে ৭ তারিখ, শুক্রবার। মহিলা পড়েছেন সমস্যায়। তিনি বলেন, “এই ক’টা দিন দিল্লিতে গিয়ে থাকব কোথায়? এই করোনার বাজারে হোটেলে থাকাটাও তো নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে না।”
মুম্বই থেকে অরিজিৎ ঘোষের কলকাতায় জরুরি প্রয়োজনে আসার কথা ৮ জানুয়ারি, শনিবার। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় সে-দিন কোনও উড়ান নেই। ফলে তাঁকে কাটতে হবে ১০ জানুয়ারির টিকিট। তিনি বলেন, “কাজের কিছু ক্ষতি হয়ে গেল।”
বন্যা সেনগুপ্তের কলকাতা থেকে মুম্বইয়ে ফেরার কথা ৮ তারিখেই। তাঁর বাড়ি মুম্বইয়ে। চাকরিবাকরিও সেখানে। তিনি বলেন, “আমার গো এয়ারের উড়ান। আশা করছি, সে-দিন উড়ান পাব। ৫-৬ তারিখে ফোন করে জানব। না-পেলে অগত্যা উড়ানের দিন বদলাতে হবে।”
দিল্লি ও মুম্বই থেকে আপাতত সপ্তাহে শুধু সোম ও শুক্রবার উড়ান আসবে কলকাতায়। রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। ওই দু’দিন ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন কলকাতায় পৌঁছতে হলে অন্যান্য শহর ঘুরে কলকাতায় পৌঁছতে হবে। তাতে ঝক্কি অনেক। উড়ান সংস্থাগুলির অভিযোগ, বিমান প্রধানত মুম্বই, দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে ফিরতি পথে এখান থেকে যাত্রী তুলে নিয়ে যায়। ফলে সপ্তাহে ওই দু’দিন ছাড়া অন্য কোনও দিন তাদের পক্ষে শুধু কলকাতা-দিল্লি বা কলকাতা-মুম্বই, এই এক পিঠে উড়ান চালানো মুশকিল। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কলকাতা থেকে সপ্তাহে সাত দিন উড়ান চালানোর অনুমতি থাকলেও তারা সপ্তাহে দু’দিনই উড়ান চালাবে। শুধু আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে সপ্তাহে দু’দিন যাতায়াত করার জন্য বড় বিমান চালানো হতে পারে বলে জানিয়েছে উড়ান সংস্থা।
সোমবার সন্ধ্যায় কয়েকটি উড়ান সংস্থার কর্তারা জানান, রাজ্য সরকার এই বিধিনিষেধের কথা কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রককে জানিয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী বিমান মন্ত্রক সব উড়ান সংস্থাকে নির্দেশ দিলে তবেই তারা সেটা মানবে। কয়েকটি উড়ান সংস্থার কর্তাদের দাবি, সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁদের কাছে সেই নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়নি। ফলে, তাঁরা এখনও উড়ান সূচিতে কোনও রদবদল করেননি।
দিল্লি থেকে এক কর্তার অভিযোগ, “এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কী লাভ হল? ট্রেন চলছে। তাতে দিল্লি, মুম্বই থেকে লোকে কলকাতায় যাচ্ছে। তা ছাড়া বাকি শহরগুলো থেকে উড়ান চলবে। করোনা কি শুধু দিল্লি, মুম্বইয়ে আছে? আগের মতো সপ্তাহে বাকি পাঁচ দিন যাত্রীদের দিল্লি ও মুম্বই থেকে ভুবনেশ্বর, নাগপুরের মতো অন্য শহর ঘুরে কলকাতায় যেতে হবে। তাঁদের কী করে আটকানো হবে?”
তবে ইন্ডিগোর এক কর্তা জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই সপ্তাহে পাঁচ দিন দিল্লি ও মুম্বই থেকে কলকাতামুখী সব উড়ান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই পাঁচ দিন কলকাতা থেকে দিল্লি ও মুম্বইয়ে ঠিক ক’টি উড়ান চালানো হবে, সেই বিষয়ে এখনও হিসেবনিকেশ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy