মণিপুর সফরে ‘টিম ইন্ডিয়া’। ছবি: সংগৃহীত।
হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে গেলেন ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা। লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, ডিএমকের কানিমোঝি, সিপিএমের এএ রহিম, জেডিইউয়ের লালন সিংহ, আরজেডির মনোজ ঝা, জাভেদ আলি খান, শিবসেনা (বালাসাহেব) অরবিন্দ সাওয়ন্ত, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী, ভিসিকের থল তিরুমালব্যনের মতো বিরোধী জোটের সাংসদেরা।
বিরোধী জোটের সাংসদের শনিবার ইম্ফল থেকে প্রথমে চূড়াচাঁদপুরের শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল আগেই। প্রশ্ন উঠেছিল, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রাজ্য কি সেই অনুমতি দেবে? কারণ, তুলনামূলক শান্ত পরিস্থিতিতেও রাহুল গান্ধীকে সেখানে সড়ক পথে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি শাসিত মণিপুর সরকার অবশ্য বলেছে, তারা কাউকে বাধা দিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, ‘‘রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে এসে দেখে যান বিরোধী জোটের প্রতিনিধিরা। গণতন্ত্রে কাউকে আটকানো যায় না। রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই।’’ তবে অধীররা সড়কপথে না গিয়ে কপ্টারে চূড়াচাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
অধীরের নেতৃত্বাধীন ২০ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য সুস্মিতা শনিবার বলেন, ‘‘মণিপুরের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, সেটা আমরা বুঝতে চাই।’’ প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ তথা অসমের নেত্রী সুস্মিতা গত ১৯ জুলাই তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে দু’দিনের মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, সে সময়ই থৌবল এবং কঙ্গপোকপি জেলার সীমানায় দুই জনজাতি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) এবং গণধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy