মণিপুরকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে বিরোধীদের শোরগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। তবে তারই মধ্যে লোকসভায় ‘খনি ও খনিজ সম্পদ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল’ পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সরকার এবং বিরোধী সাংসদদের বিতণ্ডার মধ্যে কোনও আলোচনা ছাড়াই শুক্রবার লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ করানো হয় খনি বিল।
২০১৫ সালে প্রথম মোদী সরকারের আমল থেকে খনি বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিরোধীরা। খনি বিলের পাশাপাশি, শুক্রবার লোকসভায় ‘জাতীয় নাসিং কমিশন বিল’ এবং ‘জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল’ বিনা বিতর্কে ধ্বনিভোটে পাশ করিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার। প্রসঙ্গত, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং শাসক পক্ষের পাল্টা হট্টগোলের জেরে সংসদের চলতি বাদল অধিবেশন এই নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন মুলতুবি হল।
আরও পড়ুন:
রাজ্যসভা মুলতুবি হওয়ার আগে শুক্রবার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের উদ্দেশে বলেন, ‘‘নাটক করা আপনাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’’ ওই ঘটনার আগে রাজ্যসভায় ধনখড় জানিয়েছিলেন মণিপুর নিয়ে আলোচনা হতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোন ধারায় আলোচনা হবে তা, নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের গোড়াতেই ২৬৭ ধারায় লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সব কর্মসূচি বন্ধ রেখে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ‘ঘটনা’-সহ মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদীয়মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ২৬৭ ধারার পরিবর্তে ১৭৬ ধারায় আলোচনা চেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিরোধী সাংসদরা ওই দাবিতে ফের সরব হলে ধনখড় বলেন, ‘‘আমাকে এত বোঝানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’’