প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা দিয়ে শুরু হচ্ছে সংসদের অধিবেশন। আগামিকাল আর্থিক সমীক্ষা পেশ হবে। শনিবার বাজেট। তার পর প্রথম দফায় সাতদিন সংসদের বাজেট অধিবেশন। গোটাটাই দিল্লি ভোটের মধ্যে।
শাসক ও বিরোধী— দুই শিবিরই মানছে, বাজেট অধিবেশনের প্রথম দফা ভোটের হাঙ্গামাতেই কেটে যাবে অনেকটা। আজ সর্বদল বৈঠকেই তার আঁচ পাওয়া গেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নানা বিষয়ে চেপে ধরলেন বিরোধীরা। কাল সংসদ শুরুর আগে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে কালো ফিতে পরে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনাও করছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, সব বিষয়েই আলোচনায় রাজি সরকার। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীও বলেছেন, ‘‘বাজেটের পরই রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিতর্ক হবে। সেখানে সব বিষয়ই বিরোধীরা উত্থাপন করতে পারেন। তার পরেও কোনও নির্দিষ্ট বিষয় তাঁরা তুলতে চাইলে স্বাগত।’’
মুখে এ কথা বললেও সরকারপক্ষ মনে করছে, দিল্লি ভোটের আবহে এ বারের সংসদের অধিবেশনে কাজ তেমন হবে না। রাতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সর্বদল বৈঠক ডাকেন। তিনি পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘সকলে আশ্বস্ত করেছেন, সংসদ মসৃণ ভাবে চলবে।’’ কিন্তু আরজেডি-র মনোজ ঝা বলেন, ‘‘সরকারকে বুঝতে হবে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও সংখ্যাগরিষ্ঠের বল প্রয়োগ এক নয়।’’ সরকারে শরিক অকালি দল আজ বৈঠকে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে। বিজেপির ‘বন্ধু’ দল বিজেডিও যুক্তরাষ্ট্রীয় ধর্ম পালন না করার অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তাদের মতে, রাজ্যগুলিকে ‘ভিক্ষাপাত্রে’ নামিয়ে আনা হচ্ছে।
কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘একে তো সংসদের মেয়াদ ক্রমশই ছোট করা হচ্ছে। শুধু আইন পাশ করতেই যেন সংসদকে ব্যবহার করে সরকার। সংশোধনীও আনতে দেয় না। সব বিরোধী দলই দাবি করেছে, কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লাকে ছেড়ে দিতে হবে। যাতে তিনি সংসদে আসতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy