লোকসভা কক্ষে হানার সেই মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
লোকসভায় হানাদার চার জনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। দিল্লির পটিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজির করানো হয়েছিল ওই চার জনকে। বিচারক জানিয়েছেন, আপাতত সাত দিন দিল্লি পুলিশের হেফাজতেই থাকবেন তাঁরা। আগামী ২১ ডিসেম্বর আবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হবে।
পটিয়ালা হাউজ কোর্টের বিচারক হরদীপ কউরের এজলাসে চার অভিযুক্তকে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশের তরফে তাঁদের অন্তত ১৫ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত সাত দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে।
সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে— এই চার জনই আপাতত দিল্লি পুলিশের হেফাজতে। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ছাড়া, ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারাতেও মামলা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, ষড়যন্ত্র, অপরাধমূলক চক্রান্ত, অনধিকার প্রবেশ, দাঙ্গায় উস্কানি, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মতো বহু ধারা প্রযুক্ত হয়েছে সাগর, নীলমদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে সংসদের নতুন ভবনে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিংহের অতিথি হয়ে ঢুকেছিলেন সাগর এবং মনোরঞ্জন। লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন গ্যালারি থেকে আচমকা তাঁরা চেম্বারে ঝাঁপ দেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল রং বোমা। তার মাধ্যমেই সভাকক্ষে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দেন দুই যুবক। তাঁদের সাংসদেরা ধরে ফেলেন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন। ওই একই সময়ে সংসদের বাইরে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন নীলম এবং অমল। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল।
বুধবার রাতে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার হন বিশাল শর্মা। তাঁর বিরুদ্ধে ওই চার হানাদারকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ষষ্ঠ অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে ললিত ঝা-এর নাম। তাঁকে এখনও ধরা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy