কর্নাটকের দেবানগিরির এক মন্দির থেকে রাতে শেষ বাস ধরে ফিরছিলেন মহিলা। সেই বাসে দুই পুত্রের সামনেই তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। আরও অভিযোগ, প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল স্থানীয় থানা। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় দলিত নেতার হস্তক্ষেপে মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেফতার করে বাসের চালক, কন্ডাক্টর, খালাসিকে।
নির্যাতিতার অভিযোগের সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বিজয়নগর জেলার বাসিন্দা। গত ৩১ মার্চ দেবানগিরি জেলার উচ্চঙ্গীদুর্গা মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই ছেলে। ফিরতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। শেষ বাস ধরেছিলেন। সেই বাসে আরও সাত-আট জন যাত্রী ছিলেন। অভিযোগ, বাকি যাত্রীরা নেমে যেতেই বাসটি একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান চালক। সেখানে গিয়ে মহিলার দুই পুত্রের মুখ বেঁধে রাখেন অভিযুক্তেরা। তার পরে মহিলাকে তিন জন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, সে সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কয়েক জন কৃষক। তাঁরাই মহিলাকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত চালক প্রকাশ মাদিভালারা, কন্ডাক্টর সুরেশ এবং খালাসি রাজাশেখরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
যদিও অভিযোগ, স্থানীয়দের সক্রিয়তার পরেও পুলিশ কোনও মামলাই দায়ের করেনি। উল্টে মহিলাকে ২০০০ টাকা দিয়ে একটি নতুন শাড়ি কিনে নিতে বলে তারা। কারণ তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে গিয়েছিল। তাঁকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁকে আবার দুই পুত্রের সঙ্গে সেই মন্দিরেই ছেড়ে আসে। তারা জানায়, প্রয়োজনে ফোন করা হবে। স্থানীয় দলিত নেতারা জানতে পারেন যে, দীর্ঘ দিন ধরে মন্দিরে রয়েছেই ওই মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তান। এর পরে তাঁরা বিজয়নগরের পুলিশ সুপার শ্রীহরি বাবুকে বিষয়টি জানান। এসপির সক্রিয়তায় মামলা রুজু করে আরাসিকেরে থানা। গ্রেফতার করে তিন জনকে।