৬ বছরের ছোট্ট শিশু জরিন। তার মা বাবার জীবনে সে যেন প্রদীপের শিখার মতো। কিন্তু তাতে কী! এত ছোট বয়সেই এক ভয়ংকর রোগের শিকার সে। তবুও তার মুখের হাসি সর্বদা বহাল। বাড়ির ক্ষুদে সদস্যকে ছাড়া তাদের পরিবার অসম্পূর্ণ। কিন্তু উপায় নেই।
এ যেন এক বিভীষিকা! জন্মানোর পর মাত্র এক বছর পর থেকেই জীবনের সঙ্গে তার লড়াই শুরু হয়ে যায় জরিনের। কথা বলতে শেখার আগেই কান্নায় তার রাত দিন অতিবাহিত হতে থাকে। প্রায় এক মাস অতিরিক্ত জ্বরে ভুগেছিল সে। পরিস্থিতির জটিলতা বুঝতে পেরে তার মা এবং বাবা মনসুরালি তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। একাধিক পরীক্ষা করার পরও যথাযথ ফলাফল না পাওয়ায়, জাক্তারের পরামর্শে জরিনের মা এবং বাবা দু'জনই রক্ত পরীক্ষা করান। প্রথম দিকে এই বিষয়টিতে সকলে একটু অবাকই হয়েছিলেন। কারণ তাঁরা দু'জনেই একদম সুস্থ এবং তাঁদের বাকি সন্তানেরাও সুস্থ ভাবেই জীবন যাপন করছে। তবে পরবর্তীকালে এই পরীক্ষার ফলাফল যা আসে তা শুনে সকলেই প্রায় অবাক যান। রক্ত পরীক্ষার পরে জানা যায় যে জরিনের মা এবং বাবা দু'জনেই মাইনর থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। আর সেই কারণেই জরিনের শরীরেও বাসা বেঁধেছে এই ভয়ংকর রোগ। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী প্রতি মাসে তার ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা আবশ্যিক।
বিগত পাঁচ বছর ধরে মেয়েকে এমনভাবে কষ্ট পেতে দেখে ক্রমাগত জরিনের মা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পরেছেন। মেয়ের সুস্থতার কামনায় তিনি ঠাকুরের কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করেন। তবে পাঁচ বছরের ছোট্ট জরিনের শরীর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। ক্রমাগত রোগা এবং অসুস্থ থেকে অসুস্থতর হয়ে গিয়েছে সে। প্রতি মুহূর্তে লড়ে যাচ্ছে জীবনের সঙ্গে। ডাক্তার বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তার ট্রান্সপ্লান্টের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, তবেই তাকে বাঁচানো সম্ভব। তার ৮ বছরের দিদি, আয়েসা তার বোনের জীবন বাঁচানোর জন্য সমস্ত দিক থেকে তৈরি। ডোনার হিসেবেও সে একদম উপযুক্ত বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। তবে তার এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১৫০০০০০,০০ টাকা।
তার বাবা মনসুরালি একটি টায়ার সারানোর দোকানে কাজ করেন। তিনি যে পরিমান অর্থ উপার্জন করেন তা দিয়ে রোজের সংসার খরচ কোনও রকমে চলে যায়। এই পাঁচ বছরে তাঁদের যা জমানো অর্থ ছিল সেই সমস্ত অর্থই জরিনের ব্লাড ট্রান্সফিউশনে খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন তাঁদের কাছে জরিনের চিকিৎসা করার জন্য কোনও অর্থ অবশেষ নেই। এই অবস্থায় একমাত্র আপনারাই পারেন জরিনের পাশে দাঁড়াতে। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আপনার সাহায্যই এই ছোট্ট শিশুটিকে নতুনভাবে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। এই পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। কেটো-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy