প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাসের অভিযোগে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গত বছর দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দায়ের হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বছর তিনেক আগে কিছু দিন পাক সেনার হেফাজতে থাকা উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের একটি ছবি ধৃতদের দেখানো হয়েছিল। ছবির এক জনকে তারা চিনতে পেরেছে। দাবি করেছে, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণের সময়ে লোকটির সঙ্গে মোলাকাত হয়েছিল। যাঁর কথা বলেছে তারা, পুলিশের দাবি, তিনি পাকিস্তানের সেনা আধিকারিক।
ধৃতদের মধ্যে এক জন উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদের শান কামার। বয়স ২৮। অন্য জন ওসামা ওরফে সামি। বয়স ২২। বাড়ি দিল্লির জামিয়া নগরে। গত বছর সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কয়েক জনের সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চার্জশিটে বলা হয়, ওই বছরইতারা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। আইএসআই তাদের বলেছিল, বিস্ফোরক বসানোর জন্য দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা ওই চার্জশিট সোমবার গ্রহণ করেছে দিল্লির আদালত। তাতে তদন্তকারী আধিকারিক এসিপি ললিত মোহন নেগি বলেছেন, ‘‘ধৃতেরা এক জন হামজাকে শনাক্ত করেছে। তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লোক। ইসলামাবাদে থাকেন। রাওয়ালপিন্ডিতে জিশান ও ওসামাকে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন। হামজা নিজেই ওদের বলেছিলেন, বালাকোট বিমান অভিযানে পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে যখন ধরা হয়, তিনিও সেখানে ছিলেন। লোকটি পাক সেনার এক জন মেজর।’’
চার্জশিট অনুযায়ী, ওমান, পাকিস্তানে জিশানদের প্রশিক্ষণ হয়। বিস্ফোরক তৈরি, অস্ত্রচালনা ও সন্ত্রাসমূলক কাজের তালিম হয়। সেই সূত্রে তারা অনেকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল। মোট ন’জনকে শনাক্ত করেছে তারা। তার মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের বশির খান। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের পরে পাকিস্তানে পালিয়ে যায় বশির। সে ছিল দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং-এর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy