প্রতীকী ছবি।
শ্রীনগর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজায় যেতে গেলে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না ভারত। বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল পাকিস্তান। আর এই ঘোষণার ফলে দুই শহরের মধ্যে বিমান পরিষেবা কিছুটা প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীনগর থেকে শারজা যেতে হলে যে সময় লাগত, এখন পথ পরিবর্তন করে ঘুরপথে উদয়পুর, আমদাবাদ এবং ওমান হয়ে শারজায় পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের আরও এক ঘণ্টা বেশি লাগবে। ফলে যাত্রা আরও ব্যয়বহুল হবে।
পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন। ওমর বলেন, “২০০৯-১০ ঠিক একই রকম পদক্ষেপ করেছিল পাকিস্তান। তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করা যাবে না বলে তখনও জানিয়েছিল। ফলে শ্রীনগর থেকে দুবাই বিমান পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছিল।” তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন খুব দ্রুতই পাকিস্তান তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল তারা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি পাকিস্তান। গত ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরের শেখ উল-আলম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শ্রীনগর-শারজা বিমান পরিষেবার উদ্বোধন করেন। শ্রীনগরের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছর পর সংযুক্ত আরব আমিশাহির সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হয়েছিল। শ্রীনগর থেকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে কম সময়ের মধ্যে শারজা পৌঁছনো যায়। কিন্তু পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত এই পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলল।
২০১৯-এ বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরেও ভারতকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পাকিস্তান। আমেরিকা এবং ইউরোপে এয়ার ইন্ডিয়ার দূরপাল্লার বিমান পরিষেবা প্রভাবিত হয়। ফলে গুজরাত হয়ে ঘুরপথে পশ্চিমের দেশগুলিতে যেতে হচ্ছিল বিমানগুলিকে। যার জেরে জ্বালানি খরচ এবং বিমান ভাড়ার উপর বিপুল প্রভাব পড়েছিল।
২০১৯-এ মোদীর জার্মানি সফরের সময়ও পাকিস্তান বলেছিল তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না ভারত। সে সময় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, “কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ওই বছরই ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আইসল্যান্ড সফরের সময়ও পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী যখন শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে, তখন তিনি ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করেছিলেন। আর সে ক্ষেত্রে কিন্তু কোনও আপত্তি জানায়নি ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy