ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংখ্যালঘু নীতি নিয়ে তোপ দাগলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। হরিদ্বারে বিতর্কিত ধর্মসভার উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ভারতের শাসক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করে হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি যা বলেছেন তা আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় বড় বাধা।
পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য না করে বিষয়টিকে লঘু করে দেখাতে চেয়েছে নয়াদিল্লি। মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রশ্নে নিয়ে পাকিস্তানের কী ভূমিকা, সেটা বিশ্ব জানে। ‘অন্যের চরকায় তেল না দিয়ে’ আত্মানুসন্ধান করুক ইসলামাবাদ।
আজ সকালেই একের পর টুইট করে ইমরান লিখেছেন যে, ‘ডিসেম্বরে একটি মৌলবাদী হিন্দু সম্মেলনে ভারতের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে কুড়ি কোটি মুসলিমকে গণহত্যার আহ্বান নিয়ে মোদী সরকারের ধারাবাহিক নৈঃশব্দ, এই প্রশ্ন তুলেছে যে বিজেপি সরকার ওই গণহত্যার ডাককে সমর্থন করে কি না। বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আনার এবং পদক্ষেপ করার সময় এসেছে।’ তাঁর পরবর্তী টুইট, ‘মোদী সরকারের চরমপন্থী আদর্শ অনুযায়ী ভারতের সব ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হিন্দুত্ববাদীরা নিশানা করছে। মোদীর চরমপন্থী কর্মসূচি গোটা অঞ্চলের শান্তির জন্য বিপজ্জনক।’ প্রসঙ্গত, বিষয়টি নিয়ে এর আগেও সরব হতে দেখা গিয়েছে ইমরানকে। গত মাসে, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে তলব করে হরিদ্বারের ধর্মসভার বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।
নয়াদিল্লি সূত্রের দাবি, পাক সরকারের মদতে সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে সব ঘটনা হয় তার থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই পাকিস্তান নানা কথা বলে থাকে। ভারতের দাবি, পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান, শিখ, হিন্দুদের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ সেই দেশ। তাদের উপর নির্যাতন, জোর করে ধর্মান্তরকরণ, জোর করে বিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও হচ্ছে। জাতিগত ও ধর্মগতভাবে সংখ্যালঘুদের বেছে বেছে খুন করার অভিযোগও উঠেছে পাকিস্তানের মদতেপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy