Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
national news

ভারতে অক্সফোর্ড টিকা বানাতে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি চাইল সিরাম ইনস্টিটিউট

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে যে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রোজেনেকা’, তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার। ভারতে তারা যাতে ওই টিকার ঢালাও উৎপাদন করতে পারে।

কোভিড টিকা। প্রতীকী ছবি।

কোভিড টিকা। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ১২:১৮
Share: Save:

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকা এ দেশেও উৎপাদন করার প্রস্তুতি শুরু হল। ভারতে ঢালাও উৎপাদনের আগে তা মানুষের উপর প্রয়োগ করে দেখা হবে। তার জন্য কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের (ডিসিজিআই) অনুমতি চাইল ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে যে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রোজেনেকা’, তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার। ভারতে তারা যাতে ওই টিকার ঢালাও উৎপাদন করতে পারে।

দু’টি ফেজে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোভিড টিকা নিয়ে পরীক্ষার সাফল্যের খবর সোমবার প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা- জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ।

সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘দু’টি ফেজ-এ চালানো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রায়ালের ফলাফল উল্লেখযোগ্য। আমরা এতে অত্যন্ত খুশি। এখন এই টিকা ভারতে উৎপাদনের জন্য আমাদের লাইসেন্স প্রয়োজন। তার জন্য ভারতীদের উপর আমাদের এই টিকা প্রয়োগ (‘হিউম্যান ট্রায়াল’) করে দেখতে হবে। তার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি চেয়েছি। সেই অনুমতি পেলেই আমরা ট্রায়াল শুরু করে দেব। শীঘ্রই এই টিকার উৎপাদনও শুরু করব আমরা। প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি টিকা উৎপাদন করা হবে।’’

আরও পড়ুন- মমতার মাস্টারস্ট্রোক, রোগ ছড়ানো কমবে, মত বিশেষজ্ঞদের

আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণ সামলাতে প্রতি শনি, রবি বন্ধ ব্যাঙ্ক

সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে এও জানানো হয়েছে, তারা অগস্ট থেকেই ভারতে সেই হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করতে চাইছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দেশে কত বেশি সংখ্যায় মানুষের উপর তা প্রয়োগ করে দ‌েখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। কোনও টিকা যত বেশি সংখ্যায় মানুষের উপর পরীক্ষা করে সফল হয়, বাজারে এলে সেই টিকার সাফল্যই তত বেশি হয়, সেই টিকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা অধ্যাপক আদ্রিয়ান হিল বলেছেন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তাতে ২০০ কোটি টিকা উৎপাদনও যথেষ্ট না হতে পারে। তবু যদি আমরা সেটা করতে পারি, তা হলেও তা হবে বড় সাফল্য। কারণ, কোনও টিকাই বছরে ৫০ কোটির বেশি উৎপাদন করা হয় না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy