ফাইল ছবি
ভারতে খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ— জার্মানি সফরে গিয়ে এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, বাস্তব অবশ্য অন্য কথা বলছে।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার আপার বেদা গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ সবে শুরু হয়েছে। সৌজন্যে এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এই আদিবাসী কন্যা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পরে তাঁর পৈতৃক গ্রামের একাংশে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এত দিন অন্ধকারেই ডুবে থাকত এই গ্রামটি।
বিরোধীরা বলছেন, বিদেশে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে মোদী যা বলেছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের বক্তব্য, ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারত যে সাফল্যগুলি অর্জন করেছিল প্রধানমন্ত্রীর উচিত তা স্বীকার করা। মোদী সরকার পূর্বতন সরকারের কাজগুলিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে কিছু করছে না। দ্রৌপদী মুর্মুর পৈতৃক গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ যে সবে শুরু হয়েছে তারও উল্লেখ করেছেন চিদম্বরম। বিষয়টি নিয়ে একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। চিদম্বরমের টুইট, ‘এটিই একমাত্র গ্রাম নয়, যেখানে বিদ্যুৎ নেই। ভারতের বেশ কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল ও গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। এটা স্বীকার করতে লজ্জার কিছু নেই। ভারতে কয়েক হাজার পরিবারের বিদ্যুৎ নেই, তা স্বীকার করতে লজ্জা পাওয়ার কারণ নেই’।
খোলা জায়গায় শৌচ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিবার কল্যাণ সমীক্ষা ২০১৯-২০ অনুযায়ী, দেশের পাঁচটি পরিবারের একটি পরিবার প্রকাশ্যে শৌচ করে। দু’ বছর পরে কেন্দ্র দাবি করেছে, খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করে এমন পরিবারের সংখ্যা ‘নগণ্য’। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের রিপোর্টে স্পষ্ট এখনও অনেক জায়গাতেই খোলা জায়গায় শৌচ হয়। ফলে বিদেশ গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy