ছবি: পিটিআই।
বিরোধী শিবির গত কালই অভিযোগ তুলেছিল, তাদের ঐক্যে চিড় ধরাতে বিভাজনের নীতি নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দাবি, সেই চেষ্টা জারি থেকেছে বৃহস্পতিবারও। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিনের শেষে তাদের ‘ঐক্যের বন্ধনই’ সংসদের ভিতরে ও বাইরে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিমত।
শুক্রবার সকাল দশটায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের সংসদীয় কক্ষে সমস্ত বিরোধী দলের প্রতিনিধি সাংসদরা বৈঠকে বসবেন। থাকবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। অংশ নেবে তৃণমূলও। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, পেগাসাস-কাণ্ডের আলোচনার দাবিতে সংসদ অচল করার পরে যন্তরমন্তরে কিসান সংসদের মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ ভাবে যাবেন বিরোধী দলের সাংসদরা। তৃণমূলেরও তাতে যোগ দেওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা। যদিও তৃণমূলের সংসদীয় নেতারা জানাচ্ছেন, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামিকাল সকালে বৈঠকের পরে তা স্থির হবে।
এ দিন সকালে রাজ্যসভায় যখন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ গত কালের কাচভাঙা-কাণ্ডের নিন্দা করছেন, তখন উঠে দাঁড়াতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা খড়্গেকে। গত কাল তৃণমূলের ছ’জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সূত্র ধরে হরিবংশের আজকের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। খড়্গে ডেপুটি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘আপনি সংসদীয় আইন অনুযায়ী গত কাল অধিবেশনের বাকি সময়টুকুর জন্য তৃণমূলের ছ’জনকে সাসপেন্ড করেছিলেন। আইন অনুযায়ী, সংসদীয় অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের ঢুকতে আর কোনও বাধা নেই। কিন্তু তাঁরা যখন অধিবেশন মুলতুবির পরে নিজেদের কাগজপত্র ও ব্যাগ নিতে কক্ষে আসতে চেয়েছিলেন, তখনও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। আমি ছিলাম। ওখান দিয়েই যাচ্ছিলাম। আপনি অন্যায়কে সমর্থন করছেন।’’ এর পরেই চিৎকার শুরু হয় ট্রেজারি এবং বিরোধী বেঞ্চে থেকে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন খড়্গের এই ভিডিয়ো টুইট করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস সাংসদ তথা রাজ্যসভার বিরোধী নেতা যে ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে বিরোধী ঐক্যের চেহারা স্পষ্ট।’’ তাঁর দাবি, এই ঐক্য ভাঙার ও তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা প্রবল ভাবে চালাচ্ছে মোদী সরকার।
সূত্রের খবর, গত কাল রাতে পীযূষ গয়াল-সহ সরকারের শীর্ষ স্থানীয় কয়েক জন বৈঠকে বসে স্থির করেন, কাচ ভাঙা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সব রকম চেষ্টা করা হবে। বিষয়টিকে বড় আকার দেওয়া হবে। গত কাল সন্ধ্যায় বিজেপি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ মহেশ জেঠমলানী কাচ ভাঙা নিয়ে তৃণমূলকে দোষী করে টুইট করেন। তার পরেই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল। তাদের পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়া হয়, বিজেপি যদি কোনও রকম ‘ব্যাক চ্যানেল’ আলোচনা তাদের সঙ্গে করতে চায়, তাতে যেন সাড়া দেওয়া না-হয়। আজও সংসদ মুলতুবি হওয়ার পরে ট্রেজারি বেঞ্চকে এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন ডেরেক।
ডেরেক আজ সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের কাছে গত কালের ঘটনার ভিডিয়ো রয়েছে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের মহিলা সাংসদরাই। ডেরেকের কথায়, ‘‘ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ায় দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষরা বারবার নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক করছিলেন, চোট যেন না-লাগে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসপি-র জয়া বচ্চন, রামগোপাল যাদবরাও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy