Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Crime News

বদায়ুঁকাণ্ড: ‘কেন সেলুন দাদা এমন করল?’ ভাইদের মৃত্যু মানতে পারছে না বেঁচে যাওয়া বছর ১০-এর ছেলেটা

চোখের সামনেই তার দুই ভাইকে খুন হতে দেখে সে এখনও আতঙ্কিত। কোনও রকমে ওই সেলুনের দাদার হাত থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছে। তবে আহত অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

One question haunts 10-year-old Piyush who witnessed his brothers death

বদায়ুঁকাণ্ডে শোকস্তব্ধ পরিবার। ছবি পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫১
Share: Save:

৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। দুই ভাইয়ের মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছে না ১০ বছর বয়সি পীযূষ ঠাকুর। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাদে ভাইয়ের সঙ্গে খেলা করছিল। সে সময় আচমকাই সেখানে এসে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাতে শুরু করে বাড়ির পাশের সেলুনের দাদা। কিন্তু কেন তিনি এমন করলেন, এখনও তার উত্তর পাচ্ছে না পীযূষ। চোখের সামনেই তার দুই ভাইকে খুন হতে দেখে সে এখনও আতঙ্কিত। কোনও রকমে ওই সেলুনের দাদার হাত থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছে। তবে আহত অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যার অভিজ্ঞতার কথা জানায় পীযূষ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদায়ুঁতে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের দুই ছেলেকে খুন করার অভিযোগ ওঠে সাজিদ মহম্মদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন সাজিদের ভাই জাভেদ। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে পুলিশ যখন সেখানে পৌঁছয় তখন দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয় সাজিদের। গুলি লাগে জাভেদেরও। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। প্রায় ২৪ ঘণ্টা লুকিয়ে থাকার পর বুধবার রাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সাজিদের ভাই।

সাজিদের হাতে খুন হয় প্রতিবেশী বিনোদ ঠাকুরের দুই ছেলে আয়ুশ (১৩) এবং আহান (৭)। যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে তখন বাড়িতে ছিলেন না বিনোদ। তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা তিন ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। বিনোদের কথায়, ‘‘দুই ভাইকে চোখের সামনে খুন হতে দেখে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছে পীযূষ। কারও সঙ্গেই কথা বলছে না।’’ পীযূষের মুখে এখন শুধু একটাই কথা, ‘‘কেন সেলুন দাদা এমন করল? আমার ভাইদেরকে ফিরিয়ে দাও।’’

সাজিদ এবং জাভেদকে ভাল করেই চিনতেন বিনোদেরা। তাঁর বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল দুই ভাইয়ের। মৃত দুই নাবালকের মা সঙ্গীতা বলেন, ‘‘সাজিদ আমাদের পরিচিত। সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে এসে প্রথমে আমার কাছে একটা ক্লিপ চায়। আমি ওকে সেটা দিই। তার পর বলে আমার পাঁচ হাজার টাকার খুব দরকার। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আমি আমার স্বামীকে ফোন করে সাজিদের কথা জানাই। তিনি টাকা দিয়ে দিতে বলেন। আমি দিয়ে দিই। সাজিদকে চা খেতে বলি।’’ কিন্তু তার পর কেন এমন করলেন সাজিদ, তার উত্তর খুঁজছে বদায়ুঁর ঠাকুর পরিবার।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime News Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy