বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে হিমাচল প্রদেশে। ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি, রাস্তা। চলছে উদ্ধার। ছবি: পিটিআই।
ভারী বৃষ্টিতে এখনও বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল। টানা বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডে ভূমিধস নেমেছে। ১৩টি জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে কমলা সতর্কতা জারি করেছে দেহরাদূন আবহাওয়া দফতর। এই আবহে সোমবার মেঘাভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশের কুলুতে মারা গিয়েছেন এক জন। ধীরে ধীরে সামলে উঠছে দিল্লি।
কুলুর কাইস এবং নিয়োলি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে আরও দু’জন আহত। ভেঙে পড়েছে দু’টি বাড়ি। চার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ডিএসপি রাজেশ ঠাকুর বলেন, ‘‘কুলুর কিয়াস গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মারা গিয়েছেন এক জন। আহত তিন জন। ন’টি যান ভেঙে গিয়েছে।’’
অন্য দিকে, দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। যমুনার জল আগের তুলনায় আবার সামান্য বৃদ্ধি পেলেও এখন বিপদসীমার নীচ দিয়েই বয়ে চলেছে। সোমবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৪৮ মিটার। তার তিন ঘণ্টা আগে জলস্তর ছিল ২০৫.৪৫ মিটার। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের ধারণা, সকাল ১০টায় এই জলস্তর আরও একটু নামবে। দিল্লির আইটিও চত্বর এখনও জলমগ্ন।
বৃষ্টিতে এখনও বেহাল উত্তরাখণ্ড। ধস নেমে বন্ধ বেশ কিছু রাস্তা। দেবপ্রয়াগে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গঙ্গা। অলকানন্দা নদীর উপর তৈরি বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। সে কারণে হরিদ্বারেও জলস্তর যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। তা নিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। রবিবার গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৯৩.৫ মিটার, যেখানে ২৯৩ মিটারে উঠলেই সতর্কতা জারি করা হয়। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হরিদ্বার তহসিল, লাকসার, রুরকি, খানপুর, ভগবানপুরের ৭১টি গ্রামে বন্যাপরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ৩,৭৫৬টি পরিবার প্রভাবিত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮১টি পরিবার আশ্রয় নিয়ে শিবিরে। সাতটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ২০১টি বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। হরিদ্বারে ভারী বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ন’টি সেতু, ১৭টি রাস্তা। উদ্ধারে নেমেছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা, পুলিশ। ধস নেমে ভেঙে গিয়েছে জোশীমঠ-মালারি রোডের একটি সেতু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy