Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
India

দিল্লির ফের সেনা সরানোর দাবি

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন অঞ্চল থেকে সেনা পিছোনো নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্য হওয়ার পরে প্রায় দু’মাস কেটেছে।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২১ ০৬:০৮
Share: Save:

মাঝে বেশ কিছু দিন নীরবতার পরে গত এক সপ্তাহে দু’বার বিদেশ মন্ত্রক সরব হয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে। প্যাংগং হৃদ থেকে সেনা পিছোনোর পরে এ বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাকি সংঘর্ষবিন্দু থেকেও যাতে দ্রুত সেনা হঠায় বেজিং — তা নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে। সূত্রের মতে, অতিমারি পরবর্তী আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এখন কিছুটা কোণঠাসা বেজিং-এর উপরে যতটা সম্ভব চাপ তৈরি করে, দরকষাকষির এই স্নায়ু যুদ্ধে এগিয়ে থাকতে চাইছে নয়াদিল্লি। এই আবহে আজ লাদাখ থেকে সেনা সরানো নিয়ে দু’দেশের একাদশ সামরিক বাহিনীর বৈঠকটি হল। আজ সকাল সাড়ে দশটায় চুশুলে ওই বৈঠকটি শুরু হয়। দেপসাং, গোগরা এবং হট স্প্রিংয়ের মতো এলাকা থেকে সেনা সরানোর বিষয়টি আজ আলোচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন অঞ্চল থেকে সেনা পিছোনো নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্য হওয়ার পরে প্রায় দু’মাস কেটেছে। কিন্তু প্যাংগং হৃদ ছাড়া অন্যত্র উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি। লাদাখ সীমান্তে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চিনের সঙ্গে সংঘাত চলে আসছিল ভারতের। দফায় দফায় বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। শেষমেশ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নবম দফার বৈঠকে প্যাংগংয়ের তীর থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় দু’পক্ষ। সেই মতো ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে দু’পক্ষেই উদ্যোগ শুরু হয়। ধীরে ধীরে প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে যাবতীয় যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং সামরিক পরিকাঠামো সরতে শুরু করে। দ্রুত সে কাজ সম্পন্নও হয়।

তবে সেনা সরে গেলেও, প্যাংগং নিয়ে চাপানউতোর এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কারণ সেনা সরিয়ে নেওয়ার পরে আপাতত ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৩ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘বাফার জ়োন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না আসা পর্যন্ত কোনও পক্ষই সেখানে টহল দিতে পারবে না। এত দিন ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত ভারতের দখলে ছিল। নয়া চুক্তিতে সেই ফিঙ্গার ৪ এলাকার দখল কার্যত ছেড়ে দিতে হয়েছে ভারতকে। হৃত জমি কবে উদ্ধার হবে, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

অন্য দিকে, দেপসাংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন হেলমেট টপ এবং ইয়েলো বাম্পের মতো এলাকাকে চুক্তির আওতায় না এনে আগেভাগে শুধুমাত্র প্যাংগং থেকে কেন সেনা সরাতে রাজি হল ভারত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে পারস্পরিক সম্মতিতেই হেলমেট টপ এবং ইয়োলে বাম্প অনধিকৃত জায়গা বলে চিহ্নিত ছিল। সেখান থেকে চিনা বাহিনীকে আগে সরানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাট বড় অংশ। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, দেপসাং পুরনো সমস্যা। তাই আলাদা ভাবেই তা মেটাতে হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy