প্রতীকী ছবি।
বড়দের বুস্টার কিংবা অতিরিক্ত ডোজ় এবং ছোটদের টিকাকরণ—এই দুই দাবি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সরব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন ভারতে ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের জন্য অতিরিক্ত ডোজ় চেয়ে সরকারের কাছে আজই আবেদন জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। কিন্তু অতিরিক্ত ডোজ় ও ছোটদের প্রতিষেধক কবে থেকে দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে জাতীয় পরামর্শদাতা গোষ্ঠীর (ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি গ্রুপ অন ইমিউনাইজ়েশন বা এনটিএজিআই) বৈঠকে আজ আলোচনা হলেও ঐকমত্য হয়নি।
সূত্রের মতে, আজকের বৈঠকে অতিরিক্ত ডোজ়ের প্রশ্নে সবিস্তার আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছতে পারেননি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সরকারের একাংশ মনে করছে, এই মুহূর্তে সরকারের দ্বিতীয় দফা টিকাকরণই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এর মধ্যে অতিরিক্ত ডোজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গবেষণালব্ধ তথ্যেরও অভাব রয়েছে। ছোটদের টিকাকরণ কবে থেকে শুরু হওয়া সম্ভব, তা নিয়েও চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্থির হয়নি। তবে সূত্রের মতে, নতুন বছরের গোড়া থেকে ছোটদের টিকাকরণ শুরুর ভাবনা রয়েছে সরকারের মধ্যে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও ৪০ বা তার বেশি বয়সি নাগরিকদের বুস্টার ডোজ় দেওয়ার সুপারিশ করে জিনোমিক্স কনসর্টিয়াম (ইনসাকগ)। আজ সেই সুরেই স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের অতিরিক্ত ডোজ় দেওয়ার জন্য আবেদন করে দেশের চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন আইএমএ। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, টিকাকরণের গোড়ায় স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারেরা প্রথম ও তার এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা নিয়েছিলেন। দেশের প্রায় ২৫ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারের অন্তত ছ’মাস আগে কোভিডের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এঁদের মধ্যে বড় সংখ্যক চিকিৎসকের বয়স পঞ্চাশের বেশি। যেহেতু প্রতিষেধকের মাধ্যমে তৈরি হওয়া রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কত দিন থাকে তা স্পষ্ট নয়, তাই একাধিক দেশ দ্বিতীয় ডোজ়ের ছ’মাস পরেই বুস্টার ডোজ় নেওয়ায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। আইএমএ-র দাবি, ভারতে যে হেতু ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাই অন্তত স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের অতিরিক্ত ডোজ় দেওয়া হোক। এ ছাড়া যাঁরা ক্যানসার বা এডস রোগী, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের অতিরিক্ত ডোজ় দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে আইএমএ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বুস্টার ও অতিরিক্ত ডোজ়ের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। শরীরে যখন টিকার কারণে তৈরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে, তখন বুস্টার ডোজ় দেওয়া হয়। আর যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গোড়া থেকেই কম, অতিরিক্ত ডোজ় তাঁদেরই দেওয়া হয়। টিকাকরণের ফলে যাঁদের শরীরে যথেষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ডোজ়ের সুপারিশ করেছে আইএমএ। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যকর্মী বা ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বজায় থাকে, সে জন্য তাঁদেরও অতিরিক্ত ডোজ়ের আওতায় নিয়ে আসার সুপারিশ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy