কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নজরদারির জন্য জেলা স্তরে সাংসদ, বিধায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের দিশা কমিটি রয়েছে। কিন্তু বৈঠক নিয়মিত হচ্ছে না। অভিযোগ পেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কমিটির বৈঠকে বিরোধী দলের সাংসদদেরও ডাকার অনুরোধ করলেন লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লা।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী সম্প্রতি অভিযোগ তোলেন, রাজ্যে দিশা কমিটির বৈঠক নিয়মিত হচ্ছে না। আজ বিজেপির দিলীপ ঘোষ অভিযোগ তোলেন, বিরোধী দলের সাংসদ-বিধায়কদের এলাকায় টাকা খরচে প্রশাসন বাধা দেয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে এই প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, ‘‘আমি অধীররঞ্জনের কথায় মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেছি ওঁকে যেন বৈঠকে ডাকা হয়।’’ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা যুক্তি, নতুন লোকসভা গঠনের পর এখনও তো কমিটি তৈরিই হয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী, জেলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ দেখভালে একটি কমিটি থাকবে। জেলার দুই সাংসদ কমিটির চেয়ারপার্সন ও কো-চেয়ারপার্সন হবেন। বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যরাও সেই কমিটিতে থাকবেন।
আজ কর্পোরেট সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (সিএসআর) খরচের টাকা নিয়ে প্রশ্নে দিলীপ অভিযোগ তোলেন, সিএসআর তহবিল থেকে টাকা খরচেও ডিএমের ছাড়পত্র মেলে না। তাঁর কথায়, ‘‘তিন বছর বিধায়ক থেকে দেখেছি, প্রশাসন টাকা খরচ করার অনুমতিই দেয় না।’’
অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিংহ ঠাকুর বলেন, উনি যা বলছেন, তার অর্থ হল— সিএসআর তহবিল দূরের কথা, বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকাই খরচ করতে দেওয়া হয় না। যেমন অধীররঞ্জনের অভিযোগ ছিল যে দিশা কমিটির বৈঠক ডাকা হয় না।
কল্যাণ অভিযোগ তুলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সিএসআর তহবিল থেকে শুধু প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলেই টাকা যাচ্ছে। কেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলেও টাকা যাবে না? দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের সিএসআর-এর টাকা খরচ হচ্ছে নাগপুরে। অনুরাগ জবাবে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সিএসআর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ শতাংশেরও কম অর্থ যায়। তা ছাড়া ওই টাকা দেশেই খরচ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy