কুনোর জঙ্গলে এখনও পর্যন্ত ছ’টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। ফাইল চিত্র।
একের পর এক চিতার মৃত্যুর খবর আসছে। আফ্রিকা থেকে ভারতে আনা ৬টি চিতার মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, এই চিতার দেখভালের কাজে নিযুক্ত কয়েক জন আধিকারিকদের আফ্রিকায় পাঠানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। আফ্রিকায় শিক্ষামূলক ভ্রমণে যাবেন তাঁরা। কী ভাবে চিতার দেখাশোনা করতে হয়, কেন এত চিতার মৃত্যু হচ্ছে, সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত জানবেন সেখানকার বিশেষজ্ঞদের থেকে।
সোমবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সঙ্গে দেখা করেন ভূপেন্দ্র। সেখানেই বনমন্ত্রী জানান, আগামী ৬ জুন তিনি কুনো জাতীয় উদ্যানে যাবেন। সেখানে রাখা চিতাগুলিকে পরিদর্শন করবেন। চিতাদের সুরক্ষার্থে অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য যাবতীয় সাহায্য করবে কেন্দ্র, আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতে চিতার সংরক্ষণ এবং সংখ্যাবৃদ্ধির দিকেও নজর দিচ্ছে সরকার।
নামিবিয়া থেকে গত বছর সেপ্টেম্বরে স্ত্রী, পুরুষ মিলিয়ে ৮টি চিতা ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। কুনোর উদ্যানে সেই চিতাদের খাঁচামুক্ত করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আরও ১২টি চিতা ভারতে আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তার পর মার্চ থেকেই শুরু হয় মৃত্যুমিছিল।
কুনোর জঙ্গলেই একটি চিতা চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। সেগুলির মধ্যে তিনটিই মরে গিয়েছে। এ ছাড়া, নামিবিয়ার চিতা শাসা ২৭ মার্চ কিডনির অসুখে ভুগে মারা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা উদয়ের মৃত্যু হয় ১৩ এপ্রিল। দক্ষ নামের চিতাটিও এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। অন্য এক চিতার সঙ্গে লড়াইয়ে জখম হয়ে ৯ মে তারও মৃত্যু হয়েছে।
চিতা রাখার জন্য কুনো ছাড়াও অন্য জঙ্গলের কথা ভেবেছেন বনকর্মীরা। মধ্যপ্রদেশের গান্ধী সাগর অভয়ারণ্যে চিতাদের রাখা হতে পারে, জানিয়েছেন বনমন্ত্রী যাদব।
পর পর চিতাশাবকের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজও। তিনি জানিয়েছেন, চিতার ছানাদের বেঁচে থাকার হার বিশ্ব জুড়েই বেশ কম। কিন্তু তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, তিনি তা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy