১৯৯২ সালে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন প্রশান্ত। প্রতীকী ছবি।
তিনি প্রশিক্ষিত নন। অথচ প্রশিক্ষিত শিক্ষকের শংসাপত্র দেখিয়ে সেই স্কেলে ২০ বছর ধরে বেতন নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে শিক্ষা দফতর সেই ২০ বছরের বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিল সরকারি এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে। পশ্চিমবঙ্গে যখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে, এমন এক আবহেই ওড়িশার জাজপুর থেকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম প্রশান্তকুমার সর। তিনি জাজপুরের বালিপাতানা উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। ১৯৯২ সালে প্রশান্তের বাবার মৃত্যুর পর পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে অপ্রশিক্ষিত সহকারী শিক্ষকের কাজ পেয়েছিলেন প্রশান্ত। ইলাহাবাদের হিন্দি সাহিত্য সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা বিশারদ শংসাপত্র (এসবিসি) দেখানোর পর ২০০০ সাল থেকে প্রশান্তকে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের স্কেল অনুযায়ী বেতনের বিষয়টিতে অনুমোদন দেন স্কুলের জেলা পরিদর্শক। সেই সময় প্রশান্ত দাবি করেছিলেন, শিক্ষা বিশারদ শংসাপত্রটি প্রশিক্ষিত শিক্ষকের শংসাপত্রের সমতুল।
অভিযোগ, সেই শংসাপত্র দেখিয়ে গত ২০ বছর ধরে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের স্কেল অনুযায়ী বেতন পেয়েছেন প্রশান্ত। কিন্তু সম্প্রতি দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো এবং জাজপুরের সামাজিক অপরাধ বিভাগের দাবি, প্রশান্ত যে শংসাপত্র দেখিয়েছেন সেটি প্রশিক্ষিত শিক্ষকের সমতুল নয়। এর পরই বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তার নজরে আনা হয়। প্রশান্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই জাজপুর জেলা শিক্ষা আধিকারিক রঞ্জনকুমার গিরিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন শিক্ষা অধিকর্তা।
তদন্তের পর শিক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন যে, প্রশান্তের শংসাপত্র প্রশিক্ষিত শিক্ষকের শংসাপত্রের সমতুল নয়। এর পরই প্রশান্তের অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক হিসাবে পদাবনতি হয়। একই সঙ্গে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রশিক্ষিত শিক্ষক হিসাবে যে অতিরিক্ত বেতন পেয়েছেন গত ২০ বছর ধরে, তা ফিরিয়ে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy