প্রতীকী চিত্র।
কোনও টাকা-পয়সা, গাড়ি বা আসবাবপত্র নয়, যৌতুকে ১০০১টি গাছের চারা দাবি করে বসলেন ওড়িশার এক যুবক! তবে সে গাছ অবশ্যই ফলের হতে হবে। এই দাবি মানলেই তবে বিয়ে করবেন তিনি। সেই দাবি মেনেও নেন পাত্রী পক্ষ। অভিনব এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায়।
সরোজকান্ত বিসওয়াল। পেশায় স্কুলশিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির প্রতি টান রয়েছে তাঁর। এমনিতেই পণপ্রথার ঘোরতর বিরোধী বিসওয়াল। তবে ‘পণ’ তিনি নিয়েছেন। কিন্তু সে ‘পণ’ ছিল শুধুমাত্র গাছের চারা। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি। বিসওয়ালের দাবি মেনেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে লরি করে ১০০১টি ফল গাছের চারা পৌঁছে দিয়েছিল তাঁর বাড়িতে। শুধু শ্বশুরবাড়ি কেন, বিয়েতে উপস্থিত অতিথি-অভ্যাগত, আত্মীয়-স্বজন প্রত্যেককেই উপহার হিসেবে এনেছিলেন গাছের চারা! সেই উপহার পেয়ে যথেষ্ট খুশিও হয়েছেন বিসওয়াল।
বিসওয়ালের স্ত্রী রশ্মিরেখা পাইতালা-ও পেশায় এক জন শিক্ষক। কেন্দ্রাপাড়া জেলার মর্শাঘাই মহকুমার অন্তর্গত আদমপুরের বাসিন্দা তিনি। ১০০১ টা গাছেরে চারা দাবির পাশাপাশি, বিয়ের আগেই আরও একটা শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন রশ্মিরেখাকে দিয়ে। বলেছিলেন, বিয়েতে যেন কোনও শব্দবাজি, ব্যান্ডপার্টির আয়োজন না করা হয়। জাঁকজমকপূর্ণ নয়, বিসওয়াল চেয়েছিলেন তাঁদের বিয়েটা যেন সাদামাটাই হয়।
আরও পড়ুন: মানুষ এড়াতে বদলে যাচ্ছে বন্য জীবন!
ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতে বিপর্যস্ত রাজ্য, বৃষ্টি চলবে আরও ২ দিন
শব্দবাজিতে আপত্তি কেন? বিসওয়াল জানান, তিনি এক জন প্রকৃতিপ্রেমী। শব্দবাজিতে পরিবেশ দূষণ হয়। পরিবেশ দূষণ রুখতে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। তাই চাননি বিয়েতে শব্দবাজি পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করতে। পরিবর্তে, শান্ত পরিবেশে গাছের চারা বিনিময়ের মাধ্যমেই সম্পন্ন হোক বিয়ে, এমনটাই ইচ্ছা ছিল তাঁর। আর সে ইচ্ছা পূরণও হয়েছে কোনও রকম ওজর-আপত্তি ছাড়াই। এ রকম এক জনকে নিজেদের পরিবারের মধ্যে পেয়ে রশ্মিরেখা ও তাঁর পরিবারও বেজায় খুশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy