সন্দেহের বশে কাকার গলা কেটে খুন। প্রতীকী ছবি।
কাকা গোপনে তুকতাক করেন। এই সন্দেহে ভাইপো গলা কেটে ফেললেন কাকার। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের একটি গ্রামে। পরে পুলিশ ভাইপোকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়ূরভঞ্জের ভোলাগাদিয়া পঞ্চায়েতের সারজানদি গ্রামে থাকেন টুঙ্গুরু সিংহ। দীর্ঘ দিন ধরেই পরিবারে জমি নিয়ে বিবাদ চলছে। শুক্রবার রাতে বাড়ির সকলে কাছের মাঠে ফুটবল ম্যাচ দেখতে যান। বাড়িতে একাই ছিলেন বছর ষাটের টুঙ্গুরু। তখনই ভাইপো বাপুন এসে জমি নিয়ে কাকার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাকার গলা কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ। খেলা দেখে ফিরে এসে টুঙ্গুরুর ছেলে, স্ত্রী দেখতে পান বাড়ির উঠোনে রক্তে মাখামাখি হয়ে পড়ে আছে টুঙ্গুরুর ধড়। মাথা নেই। পরে মুন্ডুটিও খুঁজে পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কাকা গোপনে তুকতাক করে জমি কেড়ে নেওয়াক ছক কষছেন বলে সন্দেহ ছিল ভাইপোর। সেই কারণেই কাকাকে খুন। পরে পুলিশ বাপুনকে গ্রেফতার করেছে। বাপুন পুলিশের কাছে দোষ কবুল করেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তুকতাকের অভিযোগে প্রতি বছরই একাধিক প্রাণ যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সব আটকাতে বিশেষ আইনও এনেছে ওড়িশা সরকার। তাতেও লাগাম পরানো যায়নি। ময়ূরভঞ্জ জেলাতেই এই ধরনের ঘটনার কথা বেশি শোনা যায়। গত মাসেই গঞ্জাম জেলায় এক জন ৫৫ বছরের মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তদন্তে নেমে মোট ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে ২০ জন মহিলা। জানা যায়, ওই মহিলার স্বামী তুকতাক করেন বলে সন্দেহ ছিল গ্রামবাসীদের। এ কথা জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। কেন ওই মহিলা পুলিশের কাছে গেলেন, এই ক্ষোভেই তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy