Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Odisha Health Minister Death

মন্ত্রীকে গুলি করা সেই পুলিশকর্মী মানসিক রোগী! তবু কেন পিস্তল পেলেন?

ঘাতক পুলিশকর্মী ‘বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে’ ভুগছিলেন। এটি এক ধরনের মানসিক রোগ, যার ফলে মন স্থির থাকে না। রাগ, দুঃখ প্রভৃতি আবেগ ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। গভীর অবসাদে ভোগেন রোগী।

Odisha Health Minister Naba Kishore Das was killed by Police.

পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাস। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৮
Share: Save:

পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাস। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত ওড়িশা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর মানসিক রোগী। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে পিস্তল দেওয়া হয়েছিল, কেনই বা তাঁকে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ঘাতক পুলিশকর্মীর নাম গোপালক্রুষ্ণা দাস। রবিবার দুপুরে ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া জেলার ব্রজরাজনগরে গান্ধী চকের কাছে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে আচমকাই গুলি ছোড়েন তিনি। পর পর দু’টি গুলি লাগে নবকিশোরের বুকে। গুরুতর আহত অবস্থায় মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশকর্মীকে স্থানীয়েরাই ধরে ফেলেন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে ভুগছিলেন। এটি এক ধরনের মানসিক রোগ, যার ফলে মন স্থির থাকে না। রাগ, দুঃখ প্রভৃতি আবেগ ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। গভীর অবসাদে ভোগেন রোগী।

ওড়িশার ব্রহ্মপুরের এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজের মনরোগ বিভাগের প্রধান চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘গোপালক্রুষ্ণা ৮ থেকে ১০ বছর আগে প্রথম আমার ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তিনি খুব তাড়াতাড়ি মাথা গরম করে ফেলতেন। ওঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু আমি জানি না নিয়মিত তিনি ওষুধ খাচ্ছিলেন কি না। নিয়মিত ওষুধ না খেলে রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। গত এক বছরে গোপালক্রুষ্ণা আমার ক্লিনিকে আর আসেননি।’’

ব্রহ্মপুরে পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে চাকরিজীবন শুরু করেছিলেন গোপালক্রুষ্ণা। ১২ বছর আগে ঝাড়সুগুড়ায় তাঁর বদলি হয়। তার পর থেকে সেখানেই থাকছিলেন তিনি। সেখানেই রবিবার তাঁর চালানো গুলিতে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। গোপালক্রুষ্ণার কাছে লাইসেন্স-সহ পিস্তল ছিল।

ওই ব্যক্তি যে মানসিক রোগে ভুগছিলেন, ওষুধ খেতেন, তা স্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রীও। তবে স্ত্রী এবং পরিবারের সঙ্গে থাকতেন না গোপালক্রুষ্ণা। কাজের সূত্রে দূরে থাকতে হত তাঁকে। তাই নিয়মিত ওষুধ খেতেন কি না, নিশ্চিত নন স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কাজেই নিয়োজিত ছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। যেখানে তিনি মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন, তার ৫০০ মিটার দূরে রেখে এসেছিলেন নিজের মোবাইল ফোনটি। গোপালক্রুষ্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Odisha Health Minister
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE