Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
JNU

জেএনইউ-তে বিবেকানন্দের মূর্তির বেদিতে অশ্লীল মন্তব্য, নিন্দার ঝড় সর্বত্র

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন সকালেও বিক্ষোভ চলেছিল জেএনিউ-এ।

মূর্তির বেদিতে এ ভাবেই অশ্লীল কথা লেখা হয়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

মূর্তির বেদিতে এ ভাবেই অশ্লীল কথা লেখা হয়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:২৮
Share: Save:

কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের স্মৃতি উস্কে এ বার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির বেদিতে অশ্লীল মন্তব্য লেখার অভিযোগ উঠল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সেখানে বিবেকানন্দের একটি নবনির্মিত মূর্তির বেদিতে অশ্লীল শব্দ চোখে পড়ে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন সকালেও বিক্ষোভ চলেছিল জেএনিউ-এ। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের সর্বত্র তা নিয়ে দেওয়াল লিখনও হয়েছে। তার মধ্যেই স্বামী বিবেকানন্দের একটি নবনির্মিত মূর্তির বেদিতে অশ্লীল মন্তব্য নজরে আসে। মূলত বিজেপি এবং গেরুয়া শিবির বিরোধী মন্তব্যই লেখা ছিল সেখানে। তাই বামপন্থী ছাত্ররাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির।

তবে এতে বামপন্থী ছাত্রদের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি এন সাই বালাজির। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেই অ্যাডমিন ব্লক থেকে সমস্ত দেওয়াল লিখন মুছে দেব আমরা। কিন্তু বিবেকানন্দের মূর্তির বেদিতে যা লেখা হয়েছে, বামপন্থী ছাত্রদের কেউ তাতে জড়িত নয়।’’

নবনির্মিত এই মূর্তির বেদিতেই অশ্লীল কথা লেখা হয়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

আরও পড়ুন: ন’বছর পর প্রেসিডেন্সির ক্ষমতায় আসতে চলেছে এসএফআই​

অন্য দিকে, বাম-বিজেপি নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়াই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সানি ধীমান। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। তবে বিবেকানন্দের মূর্তিতে ভাঙচুর চালানো হয়নি। বেদির উপর কেউ বা কারা অশ্লীল কথা লিখেছিল। আমরা তা মুছে দিয়েছি। তবে জেএনিউ-এর কোনও পড়ুয়া এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না।’’

তবে তিনি কাউকে দোষারোপ না করলেও, সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) ঘাড়ে গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের কেউ কেউ। তাঁদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে, পড়ুয়াদের বদনাম করতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পিকের ছকে প্রাণপণে ময়দানে তৃণমূল, উপনির্বাচনেও আলাদা ইস্তাহার খড়্গপুর-কালিয়াগঞ্জের জন্য​

ফি বৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন সেখানকার পড়ুয়ারা। তার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুটা পিছু হটলেও, এখনই ক্লাসে ফেরার প্রশ্ন ওঠে না বলে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুরোপুরি প্রত্যাহার নাহওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তার মধ্যেই এই ঘটনা।

অন্য বিষয়গুলি:

JNU Swami Vivekananda Vandalization ABVP JNUSU
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy