মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি। সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। যদি জোরজবরদস্তি করা হত, তা হলে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করলেন না কেন মহিলা? আদালতে পুণেকাণ্ডে অভিযুক্তের পক্ষে সওয়াল করে এমনই দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী সাজিদ শাহ।
টানা ৭৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় পুণেকাণ্ডে অভিযুক্তকে। শিরুর এলাকার একটি ধানখেত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দিয়েছে আদালত। আদালতে আমরা জানিয়েছি, যা ঘটেছে তা দু’জনের সম্মতিতেই হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
অভিযুক্তের আরও এক আইনজীবী ওয়াজিদ খান সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘তদন্তকারী আধিকারিক দাবি করেছেন যে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বভাবে অপরাধী। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আগের কোনও ঘটনাতেই তিনি দোষী প্রমাণিত হননি। ঘটনার যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, তখন ঘড়িতে সকাল পৌনে ৬টা। মহিলা চিৎকার করে সাহায্য চাইতে পারতেন। এই ঘটনায় কোনও জোরজবরদস্তি করা হয়নি।’’
আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা স্বরগেট বাসডিপোয় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি সাতারায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত সেখানে আসেন। নির্যাতিতার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘দিদি, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’’ নির্যাতিতা উত্তর দেওয়ার পর তাঁকে সাতারার বাসে তুলে দেওয়ার নাম করে ডিপোর অন্য একটি জায়গায় একটি ফাঁকা বাসে তুলে দেন। নির্যাতিতাকে বার বার ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে তাঁর বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন অভিযুক্ত। তার পর তাঁকে বাসের ভিতরে দু’বার ধর্ষণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার স্বরগেট বাসডিপোয় একটি সরকারি বাসের ভিতরে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পুণেয়। সেই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা মহারাষ্ট্রে। ঘটনার পর টানা ৭৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।