যমজ অট্টালিকা গুঁড়িয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। ছবি: পিটিআই।
জন্ম— ২০১২।
মৃত্যু— ২০২২।
দিন—২৮ অগস্ট।
সময়—দুপুর আড়াইটে।
মৃত্যুর সময়— মাত্র ন’সেকেন্ড। বু…উ…উ…ম!
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে একটু একটু করে তৈরি হওয়া সেই গগনচুম্বী যমজ অট্টালিকা এখন অতীত। কয়েক মিনিট আগেই তারা অতীত হয়ে গিয়েছে গোটা নয়ডা, এমনকি গোটা দেশবাসীর কাছে।
নয়ডার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সেই যমজ অট্টালিকাকে অবলীলায় মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হল। দুই যমজের কংক্রিটের ‘দেহাবশেষ’ ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তিন মাস ধরে ‘সৎকারের’ কাজ চলবে এই যমজ অট্টালিকার।
নির্মাণের শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী ছিল নয়ডার এই যমজ অট্টালিকার। মাটিতে মিশে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বিতর্কেরও অবসান হল। ২০০৫-এ সেক্টর ৯৩এ-তে ১৪টি অট্টালিকা বানানোর অনুমতি পেয়েছিল সুপারটেক নির্মাণ সংস্থা। অট্টালিকাগুলির উচ্চতা ৩৭ মিটারের মধ্যে হতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছিল নয়ডা প্রশাসন।
২০০৬-এ আরও জমি দেওয়া হয় নির্মাণ সংস্থাকে। ২০০৯ সালে স্থির করা হয়, আরও দু’টি অট্টালিকা বানাবে সুপারটেক। তার মধ্যে একটি হল অ্যাপেক্স, অন্যটি সিয়েন। ২৪ তলা পর্যন্ত এই যমজ অট্টালিকা বানানো হবে বলে স্থির করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সেই অট্টালিকা ৩২ তলা করা হয়। আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
এমারল্ড কোর্ট ওনার্স রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এই বেনিয়মের বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করে। অভিযোগ তোলা হয়, নির্মাণকারী সংস্থা উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্ট ওনার্স অ্যাক্ট, ২০১০-এর লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে বাগান করা হবে বলে দলিলে দেখানো হয়েছিল, সেই জায়গাতেই অট্টালিকা গড়ে তোলা হয়। নির্মাণ আইন অনুযায়ী, যেখানে দু’টি অট্টালিকার দূরত্ব ৩৭ মিটার হওয়া উচিত, সেখানে ১৬ মিটার দূরত্বে অ্যাপেক্স এবং সিয়েনকে নির্মাণ করা হয়েছে।
২০১২-র ডিসেম্বর থেকে এই যমজ অট্টালিকা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা পৌঁছয়। অবশেষে যমজ অট্টালিকা ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy