ফাইল চিত্র
আসন্ন তিন দিনের আমেরিকা সফরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি ওই দেশের শিল্পমহলের সঙ্গেও আলোচনার টেবিলে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চেষ্টা হবে ভারতে বিনিয়োগ টানা ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর। কিন্তু একদা বহু প্রতীক্ষিত ভারত-আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ কী, সেই প্রশ্নে কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, অন্তত এই সফরে সে বিষয়ে লক্ষণীয় অগ্রগতির বিশেষ সম্ভাবনা তেমন দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘‘আমেরিকার আগের প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা শুরু হয়েছিল। তখন আংশিক চুক্তি সম্পন্ন করা নিয়েও কথা হয়। এ বার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি কোন দিকে এগোয়, দেখা যাক।’’
বিদেশ সচিব এ কথা বললেও, বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তাদের সংশয় নেই যে, আমেরিকা এখন ভারতের সঙ্গে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি চাইছে না। গত মাসেই বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছেন, বাইডেন প্রশাসন ভারতকে বার্তা দিয়েছে যে, তারা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আগ্রহী নয়। ফলে দর কষাকষি করে ভারতীয় পণ্যের জন্য কী ভাবে আমেরিকার বাজার আরও খুলে দেওয়া যায়, দিল্লি আপাতত সেই চেষ্টাই করবে।
ঠিক দু’বছর আগে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে ওই চুক্তি সম্পন্ন করতে কম চেষ্টা করেননি ভারতীয় কূটনীতিকরা। কিন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধের মীমাংসা হয়নি। মোদী সরকার নিদেন পক্ষে একটি ‘মিনি ট্রেড ডিল’ করতেও সচেষ্ট হয়েছিল। কিন্তু তা-ও সম্ভব হয়নি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চেয়েছিলেন, আমেরিকা থেকে ভারতে আসা অ্যাপল-এর দামি স্মার্টফোন, স্মার্ট-ঘড়ির মতো পণ্যের উপরে শুল্ক কমানো বা তুলে নেওয়া হোক। মোদীর বক্তব্য ছিল, তাতে চিন-হংকংয়ের ফায়দা হবে। তার বদলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সফল করতে অ্যাপল-ই ভারতে কারখানা খুলুক।
আমেরিকা চেয়েছিল, তাদের কৃষি এবং ডেয়ারি পণ্যের জন্য ভারতের বাজার আরও বেশি করে খুলে দেওয়া হোক। কিন্তু আরএসএসের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ তাতে আপত্তি তোলে।
ওয়াশিংটনের দাবি ছিল, মোদী সরকার হৃদরোগের চিকিৎসার স্টেন্টের দামে যে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে, তা তুলে নেওয়া হোক। তাতে আমেরিকার সংস্থার ফায়দা হলেও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়বে বলে সরকার রাজি হয়নি। তেমনই আবার কেন্দ্র চায়, ভারত থেকে রফতানি করা ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম থেকে বর্ধিত শুল্ক তুলে নিক ওয়াশিংটন। এ দেশের কৃষি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের জন্য আরও বেশি করে আমেরিকার বাজার খুলে দেওয়া হোক।
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এই সব বিষয়ে আলোচনার জন্য দ্রুত ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নীতি ফোরামের বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ২০১৭ সালের পরে এই ফোরামের কোনও বৈঠক হয়নি। তবে গয়ালের সঙ্গে আমেরিকান বাণিজ্য প্রতিনিধির নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy