—ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সগর্বে বলেন, ছেলেবেলায় তিনি ছিলেন ‘চা-ওয়ালা’। নিছক আড্ডার নামও দেন ‘চায়ে-পে চর্চা’। সেই মোদীর প্রধান প্রতিপক্ষ দলের ভাঁড়ারে এমন টান পড়েছে, যার আঁচ পড়েছে চায়ের ভাঁড়েও।
নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা যদিও নয় কংগ্রেসের। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এআইসিসি-র বহু নেতা বলে আসছেন, মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে আর্থিক দিক থেকে বিজেপি যেমন ফুলেফেঁপে উঠছে, আয় কমেছে কংগ্রেসের। কিছু রাজ্যে তো দফতরের কর্মীদের মাসান্তে বেতনটুকুও দিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসেও ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ দশা। গৌরী সেনের খোঁজে নামতে হচ্ছে সকলকে। রাজ্য নেতারা দিল্লিতে এসে হাত পাতলেই বলে দেওয়া হচ্ছে, ‘‘নিজেদেরটা নিজেরাই গোছান।’’
এমন এক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নতুন ফরমান, চায়ের খরচেও রাশ টানুন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আরও সংযমী হতে হবে প্রতি মাসের খরচে। চা-বিস্কুটের জন্য মাসে তিন হাজার টাকার বেশি খরচ করা যাবে না। এর বাইরে খরচ হলে ট্যাঁকের কড়ি গুণতে হবে। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, ‘‘দলের কোষাগারের হাল ভাল নয়। অপচয় আর বরদাস্ত করা যাবে না। দিনের পর দিন দিল্লিতে থাকেন না অনেক নেতা, কিন্তু তাঁদের দফতর থেকে প্রতি মাসে দিব্যি বিল আসছে। এ সবে রাশ টানতেই হবে।’’
শতাব্দী প্রাচীন দলের এই হাল কেন?
এক নেতার কথায়, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিতে দল ক্ষমতায় থাকলে টাকা-কড়ি আসে। গত পাঁচ বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস। একের পর এক রাজ্যও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এই হাল অপ্রত্যাশিত নয়। আসন কমলেও কংগ্রেস তো আর আঞ্চলিক দল নয়। গোটা দেশে কর্মী আছে, দল চালানোর খরচ আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy