Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

শুধু বিল পাশেই নজর সরকারের

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরে গত সপ্তাহেই বিজেপির সাংসদদের অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘২৫টির মতো বিল আছে।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০২:২৬
Share: Save:

মেয়াদ বাড়ল সংসদ অধিবেশনের। কিন্তু রোজকারের প্রশ্ন-উত্তরের পর্বটিই বাতিল করতে চায় সরকার। বাড়তি আট দিনে নরেন্দ্র মোদী সরকার চাইছে, একের পর এক বিল পাশ করা হোক।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরে গত সপ্তাহেই বিজেপির সাংসদদের অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘২৫টির মতো বিল আছে। দিনে দু’টি করে পাশ করতে হবে।’’ বিজেপির এক সাংসদের কথায়, ‘‘এর পরে বছরের শেষে শীতকালীন অধিবেশন। এ বার সরকার যত বিল পাশ করাতে চাইছে,
সে সব ঠিক মতো হয়ে গেলে আর শীতকালীন অধিবেশন ডাকারও প্রয়োজন নেই।’’ বিরোধী সাংসদরা বলছেন, গোটাটাই তো গা-জোয়ারি! বিরোধীদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আলোচনা না করে সরকার একতরফা সংসদের মেয়াদ বাড়াল। লোকসভায় সংখ্যার জোরে পাশ করিয়ে নিচ্ছে একের পর এক বিল। আর রাজ্যসভাতে সংখ্যা না থাকলেও ‘বুথ দখল’ হচ্ছে। ভোটের সময় বিজেপির সাংসদ-মন্ত্রীরা শাসাচ্ছেন অন্য দলের সাংসদদের। ভোটের স্লিপ কেড়ে নিচ্ছেন।

কাল এমন ঘটনাই ঘটেছে রাজ্যসভায়। তথ্যের অধিকার বিল পাশের সময়ে। উচ্চকক্ষে শাসক গোষ্ঠী এখনও সংখ্যালঘু। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করে নবীন পট্টনায়েক এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলের সমর্থন জোগাড় করেন। জগন্মোহন রেড্ডির দল আগে থেকেই সমর্থন দিয়ে রেখেছিল। বিরোধী দলের সাংসদেরা জগনের দলের সমর্থন চাইতে যান। সেই সময় নাকি জগনের দলের পক্ষ থেকে শুধু একটি সংখ্যা বলা হয়— ‘‘উনিশ।’’ এই ‘উনিশ’ আসলে কী? বিরোধী শিবিরের এক নেতা বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে জানা গেল, জগনের বিরুদ্ধে এখনও উনিশটি মামলা রয়েছে। সেটিই না কি সরকারকে সমর্থন দেওয়ার কারণ!’’

সংসদের দুই সভায় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ বাকি?
• তিন তালাক
• বেতন বিধি
• শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ
• আন্তর্রাজ্য নদীর জল বিবাদ
• ডিএনএন প্রযুক্তি
• বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন
• রূপান্তরকামী বিল

কিন্তু এনডিএ-র বাইরে এই ‘বন্ধু-দলের’ সমর্থন হাসিলের পরেও গতকাল তথ্যের অধিকার বিলে ভোটাভুটির সময়ে টিডিপি থেকে বিজেপিতে আসা সাংসদ সি এম রমেশকে অন্য এক সাংসদের ভোটার স্লিপ কেড়ে নিতে দেখা যায়। বিরোধী শিবিরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় পীযূষ গয়ালকে। তখন রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু ছিলেন না। আজ তিনি শাসক দলের নেতাদেরও সতর্ক করে বলেন, ‘‘ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেলে কেউ যেন নিজের আসন ছেড়ে না যান। ক্ষমতায় থাকা সদস্যদেরও সতর্ক হতে হবে। যে অভিযোগ আমি পেয়েছি, তা আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়।’’ কিন্তু দিগ্বিজয় সিংহ, জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেস সাংসদেরা অভিযোগ করেন, শাসক গোষ্ঠীর উপনেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালই ভোটের সময়ে সংসদে ঘোরাফেরা করছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi BJP Lok Sabha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy