আপের জাতীয় সম্মেলনে অরবিন্দ কেজরীবাল এবং মণীশ সিসৌদিয়া।
বিজেপি বিরোধী জোটে যোগদান করার কোনও পরিকল্পনা আপাতত তাঁর নেই, সোমবার দলের প্রথম জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। সম্মেলন থেকে দলকে আগামী দিনের দিশা দেখানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এবং আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয়ের মূলমন্ত্রও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। কেজরীবালের কথায়, “এখন ১৩০ কোটি ভারতবাসীর জোট গঠনের প্রয়োজন।” ভারতকে ‘বিশ্বের সেরা দেশে’ পরিণত করতে সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
কেজরীবাল আরও বলেন, আপকে দুর্বল করার জন্য বিজেপি তাঁর দলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার ‘মিথ্যা’ অভিযোগ আনছে। কিন্তু আপকে ভাঙার জন্য বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’ সফল হবে না বলে দাবি করেছেন কেজরীবাল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী শাসিত রাজ্য সরকারগুলিকে বিজেপির ‘অগণতান্ত্রিক’ ভাবে ভেঙে ফেলার চেষ্টাকে দেশের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, পরবর্তী নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে আমরা কার সঙ্গে জোট গড়ব? আমি শুধু এটাই জানি যে, আমরা ১৩০ কোটি মানুষের সঙ্গে জোট গড়ব।”
কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের অভিযোগ, কেজরীবাল বিরোধী জোটে তাঁর অবস্থান নিয়ে আগাগোড়াই ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন। কংগ্রেস, বিজেপির থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা কেজরীবালকে অতীতে কংগ্রেসের সঙ্গে এক মঞ্চে বিশেষ দেখা যায়নি। তবে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের সমর্থন করেছিল আপ। কিন্তু মঙ্গলবার আপ-প্রধান যে ভাবে বিজেপি বিরোধী জোটে যোগ না দেওয়ার কথা জানালেন, তাতে শাসক এবং বিরোধী- উভয় শিবিরেই নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও প্রমুখকে। অপর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিরোধী মুখ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy