আত্মীয়দের অনুমতি ছাড়াই নির্যাতিতার দেহ সৎকারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
জীবিত অবস্থায় হাথরসের নির্যাতিতার বারবার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা হয়েছিল। তার জেরে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল তাঁর মেরুদণ্ডের ঘাড়ের অংশের। শেষপর্যন্ত তার জেরেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এমনটাই জানাল দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতাল। তবে চূড়ান্ত রিপোর্টে কোথাও ‘ধর্ষণ’ শব্দের উল্লেখ নেই বলেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু তরুণীর গোপনাঙ্গে যে একাধিক ক্ষত ছিল সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
হাসপাতালের দেওয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই দলিত তরুণীর উপর হামলা চালায় চার জন। তরুণীকে জমি থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তার পর থেকে শুরু হয় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।
এ দিন ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ওই তরুণীকে বারবার শ্বাসরোধ করার চেষ্টার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তরুণীর গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, তার জেরে মৃত্যু হয়নি ওই তরুণীর। বলা হয়েছে, তরুণীর সি৬ কশেরুকা (ঘাড়ের অংশে থাকা কশেরুকা) ভেঙে গিয়েছিল। ওই জায়গা থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত ঘটেছিল বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, মেরুদণ্ডে আঘাত, সেপসিস এবং হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া, এই তিন কারণেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।
আরও পড়ুন: রাহুলকে গলাধাক্কা দিয়ে গ্রেফতার করল যোগীর পুলিশ
আরও পড়ুন: যোগী আমলে ধর্ষণ করে খুনের রমরমা ‘উত্তমপ্রদেশে’
তবে এ-ও বলা হয়েছে, ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে কী ভাবে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণীর ভিসেরা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছেএবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নমুনা তদন্তকারী অফিসারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy