শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে অরুণ জেটলি। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কালো টাকার হিসেব দিয়ে কর ও জরিমানা মিটিয়ে দিন। নইলে বিপদ হবে। আজ দেশের শিল্পমহল, ব্যাঙ্ক-কর্তা, চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের সঙ্গে বৈঠক করে সেই একই কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সঙ্গে দিলেন আশ্বাস। তা হলো, নিজে থেকে যাঁরা জরিমানা-সহ বকেয়া কর মিটিয়ে দেবেন, তাঁদের নাম প্রকাশের কোনও ভয় নেই। এমনকী, আয়কর দফতর ওই সব নামধাম অন্য কোনও সংস্থাকেও দেবে না।
কালো টাকার হিসেবনিকেশ দিয়ে কর ও জরিমানা মিটিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য সরকার ১ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসের প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু এক মাস পার হতে চললেও তাতে যে বিশেষ সাড়া মিলেছে, তা নয়। শিল্পমহলের তরফ থেকে দাবি উঠেছিল, সময়সীমা বাড়ানো হোক। জেটলি বৈঠকে জানিয়ে দেন, সময়সীমা বাড়ানো হবে না। এর আগে রেডিওতে তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
শিল্পমহল, ব্যাঙ্ক-কর্তা, চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর এই ধরনের বৈঠক এই প্রথম। সেখানে মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, নামধাম গোপন রাখা তার অন্যতম। বৈঠকে ও তার পরে সাংবাদিকদের কাছে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক বার জরিমানা ও কর মিটিয়ে দিলে আর কোনও তদন্ত হচ্ছে না। সমস্ত তথ্যই গোপন থাকবে।’’
কর ও জরিমানার টাকা কিস্তিতে মেটানোর সুযোগ দেওয়ারও আবেদন রাখা হয় এ দিনের বৈঠকে। কারণ, সরকার যেহেতু এত দিনের অঘোষিত আয়ের ৩০% শতাংশ হারে কর ও ১৫% হারে জরিমানা দেওয়ার কথা বলছে, তাতে অনেকের ক্ষেত্রেই টাকার অঙ্কটা যথেষ্ট বেশি হবে। এক বারে তা মেটানো সমস্যা।
শিল্প মহলের আর একটি দাবি ছিল, সময়সীমা বাড়িয়ে ডিসেম্বর বা মার্চ পর্যন্ত করা হোক। যুক্তি, শিল্পসংস্থাগুলির আয়কর রিটার্ন জমা করতে সেপ্টেম্বর মাস হয়ে যায়। কাজেই সেখানে কোনও অঘোষিত আয় থেকে যাচ্ছে কি না, তা খুঁজতে আরও সময় প্রয়োজন। কর ফাঁকি দিয়ে অনেকে বাড়ি-ফ্ল্যাটের মতো স্থাবর সম্পত্তি কিনে থাকেন। ওই সব সম্পত্তির বর্তমান বাজারদরে কর ও জরিমানা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রেও নিয়ম শিথিল করার দাবি উঠেছিল। জেটলি অবশ্য এ বিষয়েও কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি।
কালো টাকা উদ্ধারের আশা জাগিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধারে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। দেশে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারে তাই যথাসাধ্য চেষ্টা চালাতে চান জেটলিরা। গোটা দেশের মানুষই যাতে এই প্রকল্পের সুযোগ নেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে এ বিষয়ে মানুষকে বোঝাবেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy