সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল চিত্র।
সমলিঙ্গে বিবাহের বিষয়টি ‘শহুরে অভিজাত শ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গি’কেই তুলে ধরে বলে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় কিন্তু বললেন, ‘‘এটা (সমকামিতা) যে কেবল শহুরে বিষয়, এমন কোনও পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই।’’
প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘‘ব্যক্তির যে বিশেষত্বের উপরে ব্যক্তির কোনও হাত নেই, তার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কোনও বৈষম্য করতে পারে না। এই বিশেষত্বকে সহজাত হিসেবে দেখলে তাকে আর শহুরে অভিজাত বলা চলে না। এটা হয়তো শহুরে বলে মনে হচ্ছে কারণ সেখানে অনেক মানুষ (লিঙ্গপরিচয় এবং যৌন রুচির) আড়াল ঠেলে বাইরে আসছেন।’’ তার পরেই তিনি বলেন, কিন্তু বিষয়টা যে কেবল শহুরে বা অভিজাত শ্রেণির ব্যাপার, এমন কোনও পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই।
সমলিঙ্গে বিবাহের অধিকার চেয়ে এক গুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবারের পরে বুধবারও তা নিয়ে শুনানি চলেছে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। কেন্দ্রীয় সরকার শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের মত, এটা নেহাতই ‘শহুরে অভিজাত’ ব্যাপারস্যাপার। আইনসভার উচিত, এ বিষয়ে আরও বড় করে ভাবা এবং অপরাপর মতামত খতিয়ে দেখা। বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেখানে বলা হয়েছে,দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মত চেয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, বিবাহ সংক্রান্ত আইন যৌথ তালিকাভুক্ত। সুতরাং রাজ্যগুলিকেও এই মামলার পক্ষ করা উচিত। ১৮ এপ্রিল এই মর্মে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে মনে করিয়ে সরকারের তরফে আজ বলা হয়, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মত জানাতে বলা হয়েছে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
শুনানি অবশ্য থমকে নেই। বৃহস্পতিবারও শুনানি চলবে। আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সওয়াল শুরু করেন আজ। সওয়াল করতে অনেকটা সময় লাগবে বলাতে বিচারপতি এস কে কল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সওয়াল শেষ করার উপরে জোর দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy