লকডাউন পর্বে বেতন ছাঁটাই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেল বেসরকারি সংস্থাগুলি। শুক্রবার বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সঞ্জয় কল এবং বিচারপতি এআর শাহের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, লকডাউনের সময় যে বেসরকারি সংস্থাগুলি কর্মীদের পুরো বেতন দেয়নি, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে কার্যত স্থগিতাদেশ দিয়ে শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতি এদিন জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থা এবং কর্মীরা বেতন বিতর্কের নিষ্পত্তির জন্য আলোচনায় বসতে পারেন। তাঁদের কথায়, ‘শিল্পসংস্থা এবং শ্রমিক, দু’জনেরই দু’জনকে প্রয়োজন।’ লকডাউন পর্বে যে সব বেসরকারি সংস্থা কর্মীদের বেতন দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে গত ২৯ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, লকডাউন পর্বে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল, তাদের কর্মীদেরও পুরো বেতন দিতে হবে। কোনও অবস্থাতেই বেতন কাটছাঁট করা চলবে না। এমন কিছু করলে কেন্দ্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ১০৯৫৬, মোট আক্রান্তে ব্রিটেনকে টপকে বিশ্বে চতুর্থ ভারত
আরও পড়ুন: করোনার কবল থেকে সুস্থ হলেন ৯৭ বছরের বৃদ্ধ
পঞ্জাবের কয়েকটি ছোট শিল্পসংস্থাগুলির সংগঠন এবং কর্নাটকের বেসরকারি সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন কেন্দ্রের সেই সম্ভাব্য পদক্ষেপকে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মতামত জানানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বেতন সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তির জন্য বেসরকারি সংস্থা ও শ্রমিকদের আলোচনার বিষয়টি সম্পর্কে শ্রম কমিশনারকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র চলতি মাসের গোড়াতেই সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, ওই নির্দেশিকা একটি সাময়িক পদক্ষেপ ছিল। লকডাউনে শ্রমিকেরা ফিরে যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই লকডাউন ওঠার পরে যাতে উৎপাদন শুরু করা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সাধারণ ভাবে, কর্মীদের বেতন ছাঁটা নিয়ে বেসরকারি সংস্থার সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা কেন্দ্রে নীতি নয় বলেও সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল।