আপ-কংগ্রেস দূরত্ব ঘোচানোর উদ্যোগ কেজরীওয়ালের? ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। প্রথম খড়্গের সঙ্গে বৈঠক করে পরে ১০ জনপথে রাহুলের বর্তমান ঠিকানায় যেতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী জোট নিয়েই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবীণ জেডি(ইউ) নেতার কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার দিল্লিতে কেজরীওয়ালের বাসভবনে গিয়ে সাম্প্রতিক অর্ডিন্যান্স বিতর্কে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন নীতীশ। ওই অর্ডিন্যান্সকে সংসদে বিল হিসাবে পাশ করানোর চেষ্টা হলে রাজ্যসভায় সব বিরোধী দল এক হয়ে তা আটকাবে বলেও কেজরীওয়ালকে জানান তিনি। কেজরীর সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে নীতীশের বৈঠকের একটি ভিন্ন ব্যাখ্যাও উঠে আসছে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের সূত্রে।
আদানি বিতর্কে কংগ্রেসের সঙ্গে সংসদে কক্ষ সমন্বয় করলেও পরে আপের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় কংগ্রেস। কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়ার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেজরীওয়ালের দল আপকে। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে বলে শোনা যায়। দিল্লি ছাড়াও পঞ্জাবে আপের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। কিছু দিন আগেই জলন্ধর লোকসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছেন আপ প্রার্থী। আবার কংগ্রেসের অভিযোগ, গুজরাত কিংবা গোয়ার মতো রাজ্যে বিজেপি বিরোধী ভোট কেটে আদতে কেন্দ্রের শাসকদলেরই সুবিধা করে দিচ্ছে আপ।
কংগ্রেসের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, পরোক্ষে বিজেপির সুবিধা করে দেয় এমন দলগুলিকে কর্নাটকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই যুক্তিতে আপকেও বিজেপির ‘পরোক্ষ সাহায্যকারী’ বলে খোঁচা দিয়েছে কংগ্রেস। আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স এনে দিল্লি সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছে আপ। এই বিষয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সব বিরোধী দলকে আহ্বান জানিয়েছেন কেজরীওয়াল। আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কেজরী। তার পরের দু’দিন বৈঠক করবেন উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পওয়ারের সঙ্গেও। এই আবহে বিরোধী জোটগঠনে দীর্ঘ দিন ধরেই সক্রিয় নীতীশ আপ-কংগ্রেস দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy