রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দিলেন নীতীশ।
আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআইএমএল, সিপিআই এবং সিপিএমের হাত ধরে নতুন সরকার গড়বে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। মহাজোটের নেতা হবে তিনিই।
বিহারে নতুন সরকার। আরও এক বার লালুপ্রসাদের আরজেডির হাত ধরছেন নীতীশ। আরজেডির বিধায়ক সংখ্যা ৭৯। নীতীশের দল জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা এখন ৪৫। নীতীশকে সমর্থন করার ইঙ্গিত দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১৯। সমর্থনের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন সিপিআইএমএলের ১২ জন বিধায়ক। সিপিআই এবং সিপিএমের বিধায়ক সংখ্যা চার। এক জন নির্দল বিধায়কও নীতীশকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
নীতীশকে কি সমর্থন দেবে! এই নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসছে কংগ্রেস। ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদের দল আরজেডির সঙ্গে জোট গড়েই লড়েছিল কংগ্রেস।
রাজভবনে ইস্তফা দিয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে গেলেন নীতীশ কুমার। সেখানে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
রাজভবনে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে নীতীশ কুমার বললেন, ‘‘দলের সব সাংসদ এবং বিধায়করা এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’’
#BiharPoliticalCrisis | All MPs and MLAs are at a consensus that we should leave the NDA: JD(U) leader Nitish Kumar after submitting his resignation to Bihar Governor
— ANI (@ANI) August 9, 2022
(File Pic) pic.twitter.com/2rfrVYChfJ
বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইলেন চিরাগ পাসোয়ান। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রামবিলাস পাসোয়নের ছেলে চ্যালেঞ্জ জানালেন নীতীশকে। বললেন, ‘‘এককভাবে বিধানসভায় জিতে আসুন।’’ বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বার বার নীতীশের দিকে আঙুল তুলেছিলেন চিরাগ। নীতীশের সঙ্গে বিবাদের জেরেই বিধানসভা ভোটের আগে বিহারে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন চিরাগ।
Many JD(U) MLAs, MLCs told CM Nitish Kumar in the meeting that their present alliance is trying to weaken them since 2020. Without naming Chirag Paswan, they said he was one such example; also said they if they're not alert now, it won't be good for the party: Sources
— ANI (@ANI) August 9, 2022
(File pic) pic.twitter.com/O8EwJriPt6
রাজভবনে পৌঁছে গেলেন নীতীশ কুমার। রাজ্যপালের হাতে তুলে দিলেন ইস্তফা।
#WATCH | Nitish Kumar confirms that he has resigned as Bihar CM pic.twitter.com/Av04rUXojx
— ANI (@ANI) August 9, 2022
বিকেল চারটের সময় মিছিলে করে রাজভবনে যাচ্ছেন নীতীশ কুমার। রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে নিজের ইস্তফা দেবেন তিনি বলে জানা গিয়েছে।
জল্পনা সত্যি করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়ে দিলেন, বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছেন তিনি। তার পরেই রওনা হলেন রাবড়ি দেবীর বাড়ির উদ্দেশে। সেখানেই আরজেডির সঙ্গে জোট নিয়ে চূড়ান্ত কথাবার্তা হচ্ছে বলে খবর।
পুরনো স্মৃতিকে পাশে সরিয়ে আবারও জেডিইউ-র হাত ধরতে আরজেডি ও কংগ্রেস সদিচ্ছা দেখিয়েছে। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটের ফলে দলের বিপুল সংখ্যক আসন হারিয়ে সংখ্যার বিচারে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছেন নীতীশ! এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় সবচেয়ে বড় দল লালুর আরজেডি। যার নেতা তেজস্বী যাদব। আসন সংখ্যার হিসাব ধরলে লালু-নীতীশ ও কংগ্রেস একজোট হলে অনায়াসেই গড়া যাবে সরকার। এই সম্ভাবনা সত্যি হলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দি বলয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে ক্ষমতা থেকে সরতে হবে বিজেপিকে। যা মোদী বাহিনীর কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির সঙ্গে নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের সম্পর্কের ওঠানামা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে ২০১৫ সালেও বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল জেডিইউ। সে বার লালুর দলের আসন বেশি থাকলেও ‘পুরনো বন্ধু’ নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন লালু। সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে জুড়েছিলেন নিজের দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপকে। কিন্তু সেই সরকার বেশি দিন টেকেনি। আড়াই বছরের মাথায় ফের বিজেপির হাত ধরেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রীও হন। তখনই নীতীশকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে দেগেছিলেন আরজেডি নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy