Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

লোক খুঁজে ঋণ দিন, ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ নির্মলার

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আজ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রধানদের ডেকে এই দাওয়াই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২৮
Share: Save:

ঋণ নেওয়ার জন্য নতুন লোক খুঁজে বার করতে হবে। আগে ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিয়েছেন, এমন কোনও ব্যক্তিকে ঋণ দিলে এ বার পাঁচ জনকে খুঁজে ঋণ দিতে হবে, যাঁরা আগে কখনও ঋণ নেননি। উৎসবের মরসুমের আগে জেলায় জেলায় ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণ শোধে অসুবিধায় পড়লে পাশে দাঁড়াতে হবে ছোট-মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির। কোনও ভাবেই অনাদায়ী ঋণ বা এনপিএ-র তকমা দেওয়া চলবে না।

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আজ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রধানদের ডেকে এই দাওয়াই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর পর আগামিকাল সকালেও একগুচ্ছ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।

বাজারে বিক্রিবাটা কমে যাওয়া এবং তার ধাক্কায় আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নেমে আসা চিন্তায় ফেলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। তাই উৎসবের মরসুমের আগে ব্যাঙ্ক-প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশ, দু’দফায় দেশের ৪০০টি জেলায় শামিয়ানা খাটিয়ে ঋণ বিলির আয়োজন করতে হবে। সেখানে ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) হাতে নগদ তুলে দেবে। একই সঙ্গে আমজনতা, গাড়ি-বাড়ির ক্রেতা, চাষি, ছোট-মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির হাতেও ঋণ তুলে দেওয়া হবে। ওই কাজে নজরদারির জন্য পাঠানো হবে স্থানীয় মন্ত্রী-সাংসদদের।

তিন দাওয়াই • ঋণ শোধ করতে সমস্যা হলেও ২০২০-র মার্চ পর্যন্ত ছোট-মাঝারি শিল্পের ঋণকে এনপিএ তকমা দেওয়া যাবে না • উৎসবের মরসুমের আগে ৪০০ জেলায় ঋণ-বণ্টন অনুষ্ঠান • আগে ঋণ নেওয়া একজনকে ফের ঋণ দেওয়া হলে নতুন পাঁচ জনকে ঋণ দিতে হবে

প্রশ্ন উঠেছে, লোকে যেখানে কেনাকাটা করতেই চাইছেন না, সেখানে জোর করে কাউকে কি গাড়ি-বাড়ি বা জিনিসপত্র কেনানোর জন্য ঋণ দেওয়া সম্ভব? অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘শুধু ঋণ বিলি করলেই হবে না। এই ধরনের নির্দেশ গেলে দেখা যায়, ব্যাঙ্কগুলি পরিসংখ্যান পাঠিয়ে দেয়, কত জন ঋণ পেলেন। কিন্তু আমি বলেছি, পুরনো গ্রাহকদের মধ্যে এক জন ঋণ পেলে নতুন পাঁচ জনকে ঋণ দিতে হবে।’’

কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে সব চেয়ে বেশি ধাক্কা লেগেছিল ছোট-মাঝারি শিল্পেই। অর্থনীতিবিদদের মতে, ওই ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। তার পরে ২০১৮-র আইএল অ্যান্ড এফএস-কেলেঙ্কারির পর থেকেই এনবিএফসি নগদের সমস্যায় ভুগছে। এক দিকে চাহিদা কমে যাওয়া, অন্য দিকে ঋণের জোগান কমে যাওয়ায় নতুন করে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প ধাক্কা খায়।

যার প্রভাব অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রেও পড়েছে।

অর্থমন্ত্রী আজ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাদের সেই ছোট-মাঝারি শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ, ব্যাঙ্কের ঋণ কিস্তিতে মেটানোয় কোনও ছোট-মাঝারি শিল্প সংস্থার সমস্যা হলেও আগামী মার্চ পর্যন্ত তাদের নেওয়া টাকাকে অনাদায়ী ঋণ বা এনপিএ তকমা দেওয়া যাবে না। বরং কী ভাবে নতুন পুঁজির জোগান দিয়ে বা ঋণ শোধ করার জন্য সহজ ব্যবস্থা করা যায়, তা দেখতে হবে। সাধারণত কিস্তিতে ঋণ শোধ করায় ৯০ দিনের বাধা পড়লে তা এনপিএ-র তকমা দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রীর যুক্তি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা রয়েছে, ছোট-মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঋণে ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনপিএ ঘোষণা না-করে তাদের ঋণ শোধের বা পুঁজি জোগানের ব্যবস্থা করা যাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Nirmala Sitharaman Loan Banks
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy