জঙ্গি হানার প্রতিবাদে শান্তিমিছিল। শনিবার ইম্ফলে। ছবি: পিটিআই।
জঙ্গি হামলায় মণিপুরে ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যুকাণ্ডের তদন্ত ভার আজ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিল কেন্দ্র।
আজ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সাহায্য করা এবং ভারতীয় জঙ্গিদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্য মায়ানমার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এই নিয়ে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আর্জিও জানান তিনি। এই ঘটনায় গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার কথা মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ঘটনাটি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সম্প্রতি নাগাল্যান্ডে জঙ্গি হানার তদন্তভারও গিয়েছে এনআইএ-র হাতে। তদন্তে এনআইএ খাপলাং বাহিনীর এক অর্থ সচিব-সহ তিন জনকে ধরেছে। যদিও ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত মায়ানমারে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। জঙ্গি হামলার পরে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে এ দিন হাজার চারেক মানুষ ইম্ফলে একটি মিছিল করেন। লেইমাখং সেনা হাসপাতালে ময়না তদন্তের পরে, হত ১৮ জন জওয়ানের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ।
জঙ্গি হামলার পর জওয়ানদের ঝলসে যাওয়া দেহ। সেনাসূত্রে পাওয়া ছবি।
নিহতদের শ্রদ্ধা জানান, মণিপুরের রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদ, মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী গাইখংবাম ও সেনাবাহিনীর ৩ কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত। রাওয়াত বলেন, ‘‘চান্ডেলের পাহাড়-জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চলছে। তবে কাউকে এখনও ধরা যায়নি।’’ তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী এখানে যুদ্ধ করতে আসেনি। সেনার প্রাথমিক কাজ মণিপুরের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা।
সেনা সূত্রের খবর, হামলায় নিহত ১০ জন জওয়ানের দেহ এতটাই ঝলসে গিয়েছে যে দেহগুলি শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। সেনাপ্রধান মণিপুরে এসে জঙ্গি দমনে সেনাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেও আফস্পার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ইরম শর্মিলা চানু আজ দিল্লিতে বলেন, রাজ্যে মোতায়েন জওয়ানদের প্রত্যাহার করে নিলেই মণিপুরে শান্তি ফিরবে। সন্ত্রাস দিয়ে কখনও সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়। ভালবাসা ও সহানুভূতি দিয়েই পথভ্রষ্টদের পথে ফেরানো সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy