এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা)-র একটি সূত্র বলছে, পহেলগাঁওয়ের হামলার দিনে জ়িপলাইন অপারেটর মুজাম্মিলের মুখে ওই ধর্মীয় শব্দবন্ধ ‘স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া’। আচমকা অনভিপ্রেত কিছু ঘটলে মানুষ যেমন ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তেমনই জানিয়েছিলেন মুজাম্মিলও। একটি সূত্র বলছে, যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, হামলার সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনও যোগ নেই।
পহেলগাঁও হামলার দিনে জ়িপলাইন অপারেটর মুজাম্মিলের আচরণ সন্দেহজনক ঠেকেছিল এক পর্যটকের। ঋষি ভাট নামে ওই পর্যটক অভিযোগ করেছিলেন, তিন বার একটি ধর্মীয় শব্দবন্ধ উচ্চারণ করেছিলেন মুজাম্মিল। তার পরেই শোনা গিয়েছিল গুলির শব্দ। একটি ভিডিয়ো তুলেছিলেন ওই পর্যটক (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই মুজাম্মিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ। পহেলগাঁও হামলার তদন্ত করছে তারা। এনআইএর একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে যে, মুজাম্মিলের ওই প্রতিক্রিয়াকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের একটি সূত্র জানিয়েছে, যে কোনও ধর্মের মানুষই বিপদ আঁচ করে যে ভাবে ধর্মীয় শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন, মুজাম্মিলও তেমনই করেছিলেন।
ওই পর্যটকের আরও দাবি, গোলাগুলি শুরু হওয়ার পরে তাঁকে জ়িপলাইনে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন মুজাম্মিল। এই প্রসঙ্গে মুজাম্মিলের দাদা মুখতার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর ভাই নিরপরাধ। গুলির শব্দ শুনে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। জ়িপলাইনে কোমরে বেল্ট বেঁধে কেবলের সঙ্গে ঝুলে পাহাড়ের এক দিক থেকে অন্য দিকে যাওয়া যায়। সেই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মুজাম্মিল।
পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র মুখপাত্র মহম্মদ ইকবাল ট্রাম্বুও এনআইএ-র ওই সূত্রের মতোই জানিয়েছেন যে, বিপদে পড়লে সব কাশ্মীরিই ঈশ্বরকে স্মরণ করে ওই ধর্মীয় শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন। এই নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।