Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Newborn

চিকিৎসকের ‘পরামর্শে’ চড়া রোদে সদ্যোজাতকে ৩০ মিনিট শুইয়ে রাখল পরিবার! কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু

চিকিৎসকের ‘পরামর্শ’ অনুযায়ী শিশুটিকে হাসপাতালের ছাদে নিয়ে যান আত্মীয়েরা। সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শুইয়ে রাখেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১৬:৪০
Share: Save:

চিকিৎসক নাকি পরামর্শ দিয়েছিলেন সদ্যোজাতকে রোদের মধ্যে শুইয়ে রাখতে। আর সেই ‘পরামর্শ’ মেনেই শিশুটিকে হাসপাতালের ছাদে নিয়ে গিয়ে রোদের মধ্যে ৩০ মিনিট শুইয়ে রাখেন। কিন্তু শেষমেশ শিশুটির মৃত্যুই হল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে। এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে শিশুটির পরিবার।

মৈনপুরীর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আর সি গুপ্ত জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে শহরের রাধারমন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রীতা দেবী নামে ভুগাই গ্রামের এক প্রসূতি রাধারমন রোডের ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। ১৫ মে শিশুটির কিছু শারীরিক সমস্যা দেয়। রীতা দেবীর পরিবারের দাবি, বিষয়টি চিকিৎসকের কাছে জানালে তিনি শিশুটিকে রোদের মধ্যে ৩০ মিনিট শুইয়ে রাখতে তাদের ‘পরামর্শ’ দেন।

চিকিৎসকের ‘পরামর্শ’ অনুযায়ী এর পরই শিশুটিকে হাসপাতালের ছাদে নিয়ে যান আত্মীয়েরা। সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শুইয়ে রাখেন। আঘ ঘণ্টা খোলা ছাদে রোদের মধ্যে শুইয়ে রাখার পর নীচে নিয়ে আসা হয়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, সূর্যের প্রচণ্ড তাপে ‘হিটস্ট্রোক’ হয়ে গিয়েছিল শিশুটির। তাতেই মৃত্যু হয় তার। শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনেই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান চিকিৎসক। অভিযোগ, রীতা দেবীকে জোর করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, ঠিক কী কী ঘটেছিল। যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Newborn Death Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy