নরেন্দ্র মোদী
এক দিকে রাহুল গাঁধী-সহ বিরোধীদের সম্মিলিত চাপ। তার উপরে এনডিএ শরিকরাও এখন জোট বেঁধে চাপ বাড়াতে শুরু করল নরেন্দ্র মোদীর উপর।
আগামিকাল, শুক্রবার উদ্ধব ঠাকরের জন্মদিন। শিবসেনা ডাক দিয়েছে, ‘চলো বারাণসী, অযোধ্যা।’ যে বারাণসী মোদীরই নির্বাচনী কেন্দ্র। এক সাক্ষাৎকারে রাহুলের প্রশংসাও করেছেন উদ্ধব। রাহুলকে ‘পাপ্পু’ বলে বিজেপি যে ব্যঙ্গ করে, তাকে পাল্টা কটাক্ষ করে উদ্ধবের ব্যাখ্যা, ‘প’ আর ‘পু’ হল ‘পরম পূজনীয়।’
উদ্ধব না হয় রোজই মোদীকে তোপ দাগেন, রামবিলাস পাসোয়ান বা তাঁর ছেলে চিরাগও কিন্তু অসন্তোষ লুকিয়ে রাখেননি। দলিত অসন্তোষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন চিরাগ। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ কে গয়ালের বেঞ্চ দলিত আইন লঘু করার নির্দেশ দিয়েছিল। অবসরের দিনেই গয়ালকে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে চিরাগের বক্তব্য, ৯ অগস্ট দলিত আন্দোলন আরও বড় আকারে হবে। এটি মোদীর প্রতি কার্যত হুঁশিয়ারি বলেই ধরা হচ্ছে।
বিজেপির বিশ্বস্ত শরিক বলে পরিচিত অকালি দলের নেতা নরেশ গুজরালও একই দিনে মোদী-অমিত শাহের সমালোচনায় নেমে পড়লেন। বললেন, ‘‘বিজেপি যেন শরিকদের ঘরে থাবা না বসায়। আজ যদি নীতীশ কুমার বেশি আসন চান, উদ্ধবও যদি সেই দাবি করেন, তবে তাকে সম্মান করা উচিত বিজেপির। অন্তত অটলবিহারী বাজপেয়ী হলে সেটি করতেন।’’ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন গুজরাল।
বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন, রাহুলের নেতৃত্বে একজোট বিরোধীদের শক্তি জোগাচ্ছে এনডিএ-র শরিকরাই। তাই সম্প্রতি সব শরিকের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন অমিত। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। অমিতের ফোনের পরেও অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি বয়কট করেছে শিবসেনা। অমিত আজ বলেন, ‘‘সেটি শিবসেনার সিদ্ধান্ত ছিল। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি যা-ই হবে, তার জন্য তৈরি বিজেপি।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, নীতীশের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে ‘অসুবিধা হওয়ার কথা নয়’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy