নবীন পট্টনায়ক। —ফাইল চিত্র।
ওড়িশায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বাড়ি খুঁজতে হচ্ছে শাসকদল বিজেপি এবং ওড়িশা প্রশাসনকে। নেপথ্যে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের একটি সিদ্ধান্ত। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেছেন নবীন। বাড়িতেই সচিবালয় তৈরি করে নিয়ে গোটা রাজ্যের প্রশাসনকে পরিচালনা করতেন বিজু পট্টনায়কের পুত্র। খুব কমই তাঁকে ওড়িশার সরকারি সচিবালয়ে দেখা যেত। তাই বর্তমানে সে রাজ্যে খাতায়কলমে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বলে কিছু নেই। কিন্তু ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একটি বাসভবন লাগবে। আপাতত তার খোঁজেই ব্যস্ত ওড়িশার বিজেপি নেতা এবং প্রশাসনিক কর্তারা।
২০০০ সালে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন নবীন। কিন্তু সরকারি বাসভবনে না থেকে নিজের বাড়ি থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু করেন তিনি। গোড়ার দিকে পট্টনায়কদের পারিবারিক বাংলো ছিল কটকে। সেখানেই জন্ম নেন বিজুর তিন সন্তান— প্রেম, গীতা এবং নবীন। ‘আনন্দ ভবন’ নামের সেই বাংলোটি এখন এক জন কেয়ারটেকার দেখাশোনা করেন। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজুর নানা স্মৃতিবিজড়িত জিনিসে ঠাসা সেই বাংলো এখন সংগ্রহশালা হিসাবেই পরিচিত। পাঁচ দশক আগেই কটকের ওই বাংলো ছেড়ে নতুন রাজধানী ভুবনেশ্বরে চলে যান নবীন। সেখানেই তৈরি করেন নতুন বাড়ি। নাম দেন ‘নবীন নিবাস’।
ওড়িশার প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী হেমানন্দ বিসওয়াল এবং জানকীবল্লভ পট্টনায়ক ভুবনেশ্বর ক্লাবের কাছে একটি এক তলার বাড়িতে থাকতেন। ১৯৯৫ সালে জানকীবল্লভ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সরিয়ে আনা হয় দোতলা একটি বাড়িতে। দোতলা এই বাড়িতে থেকেই রাজ্য সামলেছেন ওড়িশার আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গিরিধর গোমাঙ্গ। বর্তমানে এই বাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানানোর জন্য নির্দিষ্ট।
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই হওয়া বিধানসভা ভোটে এ বার বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে নবীনের বিজু জনতা দল (বিজেডি)-কে। প্রায় আড়াই দশক শাসন করার পর রাজ্যপাট ছাড়তে হচ্ছে তাঁকে। মঙ্গলবারই ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে বৈঠকে বসছে বিজেপি। আলোচনায় রয়েছে একাধিক নাম। তবে মুখ্যমন্ত্রী বাছার সঙ্গে সরকারি বাসভবনও খুঁজছে পদ্মশিবির। ওড়িশা প্রশাসনের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য বড় জায়গা খোঁজা হচ্ছে, যাতে একটি জায়গার মধ্যেই অনেকগুলি কাজ করা যায়। যদিও নতুন যে বাড়ি বা জায়গাই দেখা হোক, তা মুখ্যমন্ত্রীর বসবাসযোগ্য করে তুলতে সময় লাগবে বলে জানান ওই আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy