বুধবার মোদীর কনভয় তখনও আটকে। ঘটনার তদন্তে শুক্রবার পঞ্জাবে এল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দল। ফাইল চিত্র
পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকে যাওয়ার তদন্তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিল পঞ্জাব সরকার। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদীর যে পথে যাওয়ার কথা ছিল, সেই পথে ‘হঠাৎ এবং স্বতঃস্ফূর্ত’ কৃষক বিক্ষোভ হয়। যে খবর সরকারের কাছে আগাম ছিল না। যে কারণেই মোদীর কনভয় মিনিট ২০ আটকে যায়। পঞ্জাবের মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনাক্রমের বিবরণ দিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন অমিত শাহের মন্ত্রকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। পূর্বপরিকল্পিত না হওয়ায় এই বিক্ষোভ এড়ানো সম্ভব হয়নি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি দল পঞ্জাবে পৌঁছয়। তারা মোদীর যাওয়ার পথের ভিডিয়োগ্রাফি করে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। পঞ্জাব পুলিশের বেশ কয়েক জন অফিসারকে তলব করা হতে পারে। মুখ্য সচিব এবং প্রধান সচিবের সঙ্গেও ওই দল কথা বলতে পারে।মোদীর কনভয় আটকে থাকার ঘটনায় ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পঞ্জাব সরকার। তিন দিনের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে আছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহতাব সিংহ গিল, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব এবং বিচারপতি অনুরাগ বর্মা। এরই মধ্যে, এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে পাশাপাশি পঞ্জাবের মুখ্যসচিবকে অপসারণের দাবিও জানানো হয়েছে। শুক্রবার এই মামলার শুনানি।
বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ স্মারকে একটি কর্মসূচির পর ফিরোজপুরে একটি জনসভা ছিল মোদীর। ঠিক ছিল, সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে গন্তব্যে পৌঁছবেন তিনি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে রওনা দেন তিনি। ওই যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয় মোদীকে। এ নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের বাগ্যুদ্ধ তুঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy