Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে কংগ্রেসকে তির মোদীর

আজ বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের কাশ্মীর নীতিকে আক্রমণ করে তাঁর প্রশ্ন, কেন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির ভাষায় কথা বলছেন কংগ্রেসের নেতারা! গুজরাত নির্বাচনের আগে চিদম্বরমের ওই মন্তব্য দলের বিপক্ষে যেতে পারে বুঝেই তার দায় নিতে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩৬
Share: Save:

কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে মুখ খোলায় কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম-সহ গোটা দলকেই কাঠগড়ায় তুলে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের কাশ্মীর নীতিকে আক্রমণ করে তাঁর প্রশ্ন, কেন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির ভাষায় কথা বলছেন কংগ্রেসের নেতারা! গুজরাত নির্বাচনের আগে চিদম্বরমের ওই মন্তব্য দলের বিপক্ষে যেতে পারে বুঝেই তার দায় নিতে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে এ দিন দল জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। চিদম্বরমের মন্তব্য কংগ্রেসের নয়, তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।

বিতর্কের সূত্রপাত গতকাল। গুজরাতের রাজকোটে একটি আলোচনাচক্রে কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে চিদম্বরম উপত্যকায় স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, ‘‘কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ আজাদি চান। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে সেখানকার মানুষকে আরও স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।’’ গত কালই ওই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। আজ মাঠে নামেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। সামনেই গুজরাত নির্বাচন। তার আগে চিদম্বরমের মন্তব্যের সূত্র ধরে প্রধান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদের তাস খেলার সুযোগ ছাড়তে চাননি মোদী তথা বিজেপি নেতৃত্ব।

এ দিন বেঙ্গালুরুতে প্রথমে চিদম্বরমের মন্তব্যের সূত্র ধরে মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেস কাশ্মীরে যে ভাষায় কথা বলছে, সেই ভাষা তো উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির কাছ থেকে বা পাকিস্তানের মাটিতে শোনা যায়!’’ তার পরেই জাতীয়তাবাদের বিষয়টি উস্কে দিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। মোদীর কথায়, ‘‘কংগ্রেস নেতার কাশ্মীর সংক্রান্ত মন্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, তারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা ভারতীয় সেনার বাহাদুরি নিয়ে কী ভাবে!’’

দল পাশে না দাঁড়ালেও রবিবার রাত পর্যন্ত নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন চিদম্বরম। উল্টে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথার ‘সম্পূর্ণ মানে না বুঝেই অদৃশ্য ভূতকে আক্রমণ করছেন’ বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন। চিদম্বরমের ব্যাখ্যা, ‘‘আজাদি বলতে কাশ্মীরিদের বড় অংশ স্বায়ত্তশাসনের কথাই বলতে চান। সংবিধানের গণ্ডীর মধ্যে থেকে ৩৭০ ধারাকে মর্যাদা দিয়ে উপত্যকায় আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যেতেই পারে।’’ যদিও এই ব্যাখ্যাতেও লাভ হয়নি। রবিবারই হিমাচলপ্রদেশের শিমলায় এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘আসলে কংগ্রেস কাশ্মীর বিষয়টি বুঝতেই পারে না!’’ চিদম্বরমের মন্তব্য বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির হাত শক্ত করবে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকেই সুবিধা করে দেবে বলেও মনে করেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy