প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে নরেন্দ্র মোদী সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জনের লক্ষ্য ‘সব কা বিশ্বাস’-এর মন্ত্র নিয়েছিলেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মহরম উপলক্ষে ইমাম হুসেনকে শ্রদ্ধা জানালেন। হুসেনের স্মরণে টুইট করে লিখলেন, ‘আমরা ইমাম হুসেনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করি। তাঁর জন্য সত্য ও ন্যায়ের মূল্যের থেকে অন্য কিছু বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। সাম্য ও ন্যায়ে তাঁর গুরুত্ব দেওয়া উল্লেখযোগ্য। তা অনেককে শক্তি দেয়।’’
লোকসভা ভোটে জেতার পর সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জনের কথা বললেও গত সওয়া এক বছরে তিন তালাককে আইনি অপরাধের তকমা দেওয়া, ৩৭০ রদ, এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করতে যাওয়ার পরেও মোদী সরকারের ধর্মনিররেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিজেপি নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু ধর্মাচরণে ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত নয়। অন্য ধর্মকে সম্মান জানানোটাই ধর্মনিরপেক্ষতা। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর এই শ্রদ্ধার্ঘ্যকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই দেখছে রজনৈতিক শিবির। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শিয়া মুসলিমদের একটি সম্প্রদায় দাউদি বোহরাদের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। বোহরা সম্প্রদায় প্রধানত ধনী ব্যবসায়ী। এই সম্প্রদায়ের অনেকে গুজরাতে থাকেন। মোদী তাঁদের সঙ্গে নিজের হৃদ্যতার কথাও বলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy