Advertisement
E-Paper

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটি থেকে বাদ প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আসছে বিল

কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেছিল বিরোধী দলগুলি।

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা,

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, প্রধান বিচারপতি, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩১
Share
Save

সিদ্ধান্ত হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশন পর্বেই। রাজ্যসভায় পেশও হয়েছিল। আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে বিতর্কিত সেই বিল পেশ করা হবে বলে জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার ওই বিতর্কিত বিল পেশের কথা বুধবার লোকসভার আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ওই বিতর্কিত বিল পাশ হলে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা’ প্রশ্নের মুখে পড়বে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিযোগ। বিরোধী দলগুলিও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ‘চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস’ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশনস অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্মস অফ অফিস) বিল ২০২৩’-এ প্রস্তাব রয়েছে যে, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী দ্বারা মনোনীত একজন মন্ত্রী। কমিটির বৈঠক ডাকবেন প্রধানমন্ত্রী। কমিটির বৈঠকে গৃহীত নাম যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। তিনিই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, দেশে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবে একটি কমিটি। এই কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু মোদী সরকার প্রস্তাবিত কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম ছাঁটাই করে ‘প্রধানমন্ত্রী এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী’র নাম নিয়োগ কমিটিতে ঢোকাতে সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে বিরোধী দলনেতা আপত্তি জানালেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পছন্দসই আমলাদের নাম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারবে মোদী সরকার। লোকসভার আলোচ্যসূচিতে ‘দি অ্যাডভোকেটস (সংশোধন) বিল’, ‘দি প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিক্যালস বিল’ এবং ‘পোস্ট অফিস বিল’ও রয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।

দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তাবিত বিল পাশ হলে তা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হতে পারে বলে অভিযোগ। আপাত ভাবে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বহু বার তাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। শাসকদলের বেলায় নীরব আর বিরোধী দলগুলির ব্যবহারে অতিসক্রিয়, কমিশনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি ‘প্রকৃত’ শিবসেনা হিসাবে কমিশন শিন্ডেসেনাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় উদ্ধব ঠাকরের শিবির কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিল। উদ্ধব নিজে কমিশনকে ‘শাসক শিবিরের দলদাস’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন।

Narendra Modi Chief Election Commissioner

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।