Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪
Bomb Threat in Airlines

‘অপরাধে প্ররোচনা’! একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় এক্স-এর দিকে আঙুল তুলল কেন্দ্র

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থায় হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে।

Narendra Modi government blasts X in meet over bomb threats to flights

বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে এবার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে তল্লাশি করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:২১
Share: Save:

গত কয়েক দিনে ১০০টিরও বেশি বিমান বোমাতঙ্কের সম্মুখীন হয়েছে। বোমা রাখার হুমকিতে আতঙ্কিত হয়েছেন যাত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হুমকিবার্তা মিলেছে এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে। পর পর বোমাতঙ্কের ঘটনায় এ বার ইলন মাস্কের সংস্থার দিকে আঙুল তুলল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

গত সপ্তাহে বিভিন্ন বিমানে শতাধিক বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনার পরই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সঙ্কেত ভোন্ডবে এক্স এবং মেটার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই এক্স প্রতিনিধিদের ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। অভিযোগ, অপরাধে প্ররোচনা দিয়েছে এক্স। সঙ্কেত প্রশ্ন তুলেছেন, বোমা হামলা নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কেন পদক্ষেপ করেনি এক্স?

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থায় হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। তার মধ্যে ৩০টি বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে শুধু মঙ্গলবারই। এই বোমাতঙ্কের কারণে যাত্রীসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন বিমান সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়।

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, বিমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনে বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র। এই ধরনের হুমকিবার্তা পাঠানোয় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের জন্য কঠোর পদক্ষেপের সংস্থান থাকবে নতুন আইনে। এমনকি মন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় মূলচক্রীদের বিমানে ওঠার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।

বোমাতঙ্কের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা তদন্তে যুক্ত। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যে আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি লন্ডন, জার্মানি, কানাডা এবং আমেরিকা থেকে পাঠানো হয়েছে। ভিপিএন পরিষেবা ব্যবহার করে এই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Bomb Threat Airlines Elon Musk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE