নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠকে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার। ছবি: পিটিআই।
সঙ্ঘকে এ বার কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, সংখ্যালঘু-বিরোধী মন্তব্য কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, ‘‘আগেও বলেছি। এখন বলছি। কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা ও বৈষম্য সহ্য করা হবে না।’’ যাঁরা সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী করে রাশ টানা হবে, এ প্রশ্নে মোদীর জবাব, ‘‘সংবিধান সব নাগরিকের ধার্মিক স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করেছে। সাম্প্রদায়িক ঘৃণার সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা হবে না।’’
বিরোধী দলের নেতাদের পক্ষে মোদীর এই মন্তব্যকে স্বাগত জানানো ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু মোদী এই অবস্থান নিলেও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে কটাক্ষ করেন তাঁরা। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সঙ্ঘের প্রতি এমন প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি শোনা যায়নি মোদীর মুখে। এর পর থেকেই গোটা গেরুয়া শিবিরে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। বিজেপির নেতারা অবশ্য প্রকাশ্যে দাবি করছেন,মোদী গোড়া থেকেই এই অবস্থানই নিয়ে চলছেন।
প্রশ্ন হল, সঙ্ঘের সঙ্গে কি তা হলে দূরত্ব তৈরি করছেন মোদী? বিজেপির সূত্রের মতে, বিষয়টি সে রকম নয়। অনেক আগেই সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে মোদীর কথা হয়েছে। মোদী ভাগবতকে জানান, সঙ্ঘের কিছু ব্যক্তির এমন আচরণের আঁচ পড়ছে সরকারের উপরে। এনডিএ সরকার যে ভাবে উন্নয়ন ও সংস্কারের বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে, তাতে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই সব ঘটনা। বিরোধী ও মিডিয়া বিষয়গুলিকে বড় করে দেখানোয় হারিয়ে যাচ্ছে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলি। ভাগবতও এ ধরনের ঘটনায় রাশ টানার আশ্বাস দেন। কিন্তু তার পরও লাগাম কষেনি। সরকারের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরও তাড়া করছে এই বিতর্ক। আর সে কারণেই আজ মুখ খুলতে হল মোদীকে।
ঘনিষ্ঠ মহলে মোদী বলেছিলেন, যাঁরা এমন মন্তব্য করছেন, তাঁদের আগে কেউ চিনতেন না। কিন্তু তাঁরা মন্তব্য করার পর সংবাদমাধ্যমে ছাপা হচ্ছে, বিরোধীরা হাঙ্গামা করছে। সংসদের অধিবেশন স্তব্ধ হচ্ছে। মোদী মনে করছেন, এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর এই বিতর্ক পিছু টানছে। আজ মোদী বলেন, ‘অচ্ছে দিন এসে গিয়েছে। কংগ্রেস দশ বছরে যা করেছে, তাতে লজ্জিত হওয়া উচিত।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy